শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

শান্তি বৈঠকের শুরুতেই অশান্তি!

সীমান্তে গুলি বিনিময় পাকিস্তান-আফগানিস্তানের

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৭, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

সীমান্ত নিরাপত্তায় তালেবান-যোদ্ধা। ছবি- সংগৃহীত

সীমান্ত নিরাপত্তায় তালেবান-যোদ্ধা। ছবি- সংগৃহীত

স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে তৃতীয় দফার বৈঠকে বসেছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। কিন্তু সেই বৈঠক চলাকালীনই আফগানিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। 

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হলেও শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে পাকিস্তানি বাহিনী আবার স্পিন বোল্ডাক এলাকায় গুলি ছুড়েছে। এতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

ইসলামাবাদের অভিযোগ, পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি)-এর মতো গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে কাবুল। টিটিপির বিরুদ্ধে পাকিস্তানে বিভিন্ন হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার অবশ্য ওইসব গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এক্সে পাকিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক পোস্টে বলা হয়, ‘চামান সীমান্তে আজকের ঘটনার বিষয়ে আফগান পক্ষের দাবিগুলো আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আফগানিস্তানই আগে গুলি চালিয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ বজায় রেখে তাৎক্ষণিকভাবে জবাব দিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জাবিউল্লাহ মুজাহিদ লিখেছেন, আলোচক দলের প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবং বেসামরিক লোকজনের হতাহতের আশঙ্কা এড়াতে আফগান সেনাবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে পাকিস্তান অভিযোগটি অস্বীকার করেছে। তারা পাল্টা আফগানিস্তানকে দোষারোপ করেছে।

গত সপ্তাহে ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চূড়ান্ত করা সংক্রান্ত আলোচনায় অচলাবস্থা দেখা দেয়। উভয় দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে সহযোগিতা না করার অভিযোগ তোলে। আবার উভয় পক্ষ সতর্ক করেছিল, আলোচনা ব্যর্থ হলে সংঘর্ষ আবার শুরু হতে পারে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ অক্টোবর শুরু হওয়া সংঘর্ষে আফগানিস্তান সীমান্তে এ পর্যন্ত ৫০ বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৪৪৭ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া কাবুলে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হন। ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে আফগানিস্তান।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বলেছে, সংঘর্ষে তাদের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন, তবে বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়ার কোনো তথ্য তারা উল্লেখ করেনি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!