রবিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

বলিভিয়ায় নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো পাজের দায়িত্ব গ্রহণ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

রদ্রিগো পাজের শপথ অনুষ্ঠান। ছবি- সংগৃহীত

রদ্রিগো পাজের শপথ অনুষ্ঠান। ছবি- সংগৃহীত

বলিভিয়ায় প্রায় দুই দশকের সমাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে শনিবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রদ্রিগো পাজ। দেশটির ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকট এখন তার সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।

লা পাজ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

৫৮ বছর বয়সী পাজ একজন ব্যবসাবান্ধব রক্ষণশীল নেতা। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্টের সন্তান। সংসদ ভবনে তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রবল বৃষ্টির মধ্যেও করতালিতে মুখর ছিল চারপাশ।

গত মাসে অনুষ্ঠিত রান-অফ নির্বাচনে জয়ী হওয়া পাজ বলেন, ‘ঈশ্বর, পরিবার ও দেশ: হ্যাঁ, আমি শপথ নিচ্ছি।’

শপথের পর ভাষণে তিনি বলেন, ‘বলিভিয়া এখন বদলাবে। বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত হবে।’ অনেকে মনে করেন, গত ২০ বছর ধরে চলা বামপন্থী শাসনের কারণেই অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দেশটি।

২০০৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন ইভো মোরালেস। তার শাসনামলে বলিভিয়া বামপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ে। তিনি জ্বালানি সম্পদকে জাতীয়করণ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন এবং চীন, রাশিয়া ও কিউবা, ভেনিজুয়েলাসহ অন্যান্য লাতিন আমেরিকার বামপন্থী দেশগুলোর সঙ্গে জোট বাঁধেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পাজ-এর প্রথম আনুষ্ঠানিক কাজগুলোর মধ্যে একটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১৭ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা। মোরালেস ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ডানপন্থি ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে ওই সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন।

পাজ বলেন, ‘আর কখনো বলিভিয়া বিচ্ছিন্ন থাকবে না। ব্যর্থ মতাদর্শে আবদ্ধ থাকবে না। বিশ্ব থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকবে না।’ তার শপথ অনুষ্ঠানে ৭০টির বেশি দেশের প্রতিনিধি ও স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

বলিভিয়া ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে। বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ২০ শতাংশের বেশি। এছাড়া, জ্বালানি ও ডলারের তীব্র সংকট চলছে। জ্বালানীর জন্য পেট্রোল পাম্পে গাড়ির দীর্ঘ লাইন এখন সাধারণ চিত্র। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট লুইস আর্স সরকার জ্বালানি ভর্তুকি টিকিয়ে রাখতে গিয়ে প্রায় সব বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ শেষ করে ফেলেছে।

নির্বাচনী প্রচারে পাজ প্রতিশ্রুতি দেন ‘সবার জন্য পুঁজিবাদ’। তিনি বলেন, বিকেন্দ্রীকরণ, কর হ্রাস ও আর্থিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে সংস্কার হবে। পাশাপাশি সামাজিক ব্যয়ও চলবে। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই দু’টি কাজ একসঙ্গে করা সম্ভব নয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!