সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গ্যাসচুক্তি করল ভারত

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি চুক্তি সই করেছে ভারত। এই চুক্তির আওতায় দিল্লিতে ব্যবহৃত মোট তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) প্রায় ১০ শতাংশই সরবরাহ করবে ওয়াশিংটন। রুশ তেল কেনা নিয়ে ট্রাম্পের অব্যাহত চাপের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় এই এলপিজি চুক্তি করল ভারত। 

এর আগে গত আগস্টে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানিতে নেমে যায়। সে সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যে শুল্ক বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করেন। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনে মস্কোকে যুদ্ধ চালাতে সহযোগিতা করছে ভারত।

পরে ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন, সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির অংশ হিসেবে রুশ তেল আমদানি কমাতে রাজি হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে কোনও নিশ্চয়তা দেয়নি নয়াদিল্লি।

এছাড়া কৃষিপণ্য বাণিজ্য থেকে শুরু করে রুশ তেল কেনা— বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দুই দেশ এখনও আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভারতের পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রী হার্দীপ সিং পুরি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে বছরে ২২ লাখ টন এলপিজি আমদানির জন্য এক বছরের চুক্তি করেছে ভারত। যা দেশের মোট এলপিজি আমদানির প্রায় ১০ শতাংশ।

পুরির ভাষায়, এটি ‘ভারতীয় বাজারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রথম এলপিজি চুক্তি’। 

তিনি বলেন, জনগণের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী এলপিজি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভারত বিভিন্ন উৎস থেকে জ্বালানি সংগ্রহের পথ খুলছে। এতে ‘বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অন্যতম বৃহৎ এলপিজি বাজার যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উন্মুক্ত হলো’। 

এর আগে গত অক্টোবরে ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট রিফাইনার এইচপিসিএল-মিত্তাল এনার্জি জানায়, ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা রুশ তেল কেনা বন্ধ করেছে। রাশিয়ার বৃহত্তম দুই তেল কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিলে তারা তেল কেনা বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়।

এছাড়া ব্যক্তিখাতের সবচেয়ে বড় রুশ তেল আমদানিকারক রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তারা পর্যালোচনা করছে।

বার্তাসংস্থা  এএফপির প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারতের অর্থনীতি গত জুন প্রান্তিকে পাঁচ ত্রৈমাসিকের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত বেড়েছে। সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি ও ভোক্তাদের আস্থার উন্নতিতে এই প্রবৃদ্ধি এসেছিল।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক এখনও ভারতের অর্থনীতির জন্য বড় চাপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত শুল্ক কমানো না হলে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬০ থেকে ৮০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!