যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে জারি করা স্থগিতাবস্থা ‘দীর্ঘ সময়’ বজায় রাখার ইচ্ছা আছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসের কাছে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যকে গুলির ঘটনার পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয়সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
গুলিতে ন্যাশনাল গার্ডের এক সদস্য নিহত হন। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে সন্দেহভাজন এক আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, বিশ্বের ১৯টি দেশ ট্রাম্প প্রশাসন–ঘোষিত এই পদক্ষেপের আওতায় রয়েছে। দেশগুলো আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে আছে।
ওয়াশিংটনে গত ২৬ নভেম্বরের ওই গুলির ঘটনার পরই ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়াসংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। গুলির ঘটনায় ২০ বছর বয়সি গার্ড সদস্য সারা বেকস্ট্রম নিহত হন। গার্ডের আরেক সদস্য গুরুতর আহত অবস্থায় এখনো চিকিৎসাধীন।
কতদিন এই স্থগিতাবস্থা চলবে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, কোনো সময়সীমা তাঁর মাথায় নেই। ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা ওই লোকদের চাই না। জানেন কেন চাই না? কারণ, তাদের অনেকেই ভালো নয় এবং তাদের আমাদের দেশে থাকা উচিত নয়।’
গুলির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সি আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাকানওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আফগানিস্তানে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-সমর্থিত যে বাহিনী তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল, তার সদস্য ছিলেন লাকানওয়াল। ২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করার পর চালু হওয়া একটি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পান।
ট্রাম্প প্রশাসনের অধীন চলতি বছরের এপ্রিলে লাকানওয়ালের আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা দাবি করেন, আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় তাঁর বিষয়ে যথাযথ যাচাই-বাছাই করেনি তৎকালীন জো বাইডেন সরকার। যাচাই-বাছাইয়ে শিথিলতার সুযোগ নিয়ে লাকানওয়াল যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে পেরেছেন।
গুলির ঘটনার পর ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পুরো ব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের সুযোগ দিতে তিনি তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত করার পরিকল্পনা করছেন।
কোন কোন দেশের নাগরিকদের ওপর এর প্রভাব পড়বে—এ প্রশ্নের জবাবে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এএফপিকে ১৯টি দেশের একটি তালিকার দিকে ইঙ্গিত করে।
তালিকাভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আছে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান ও মিয়ানমার। গত জুন মাস থেকে এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণসংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধের আওতায় আছে।




সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন