রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:২২ এএম

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা-ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়াল

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ১০:২২ এএম

বন্যার থৈথৈ পানিতে ইন্দোনেশিয়া। ছবি- সংগৃহীত

বন্যার থৈথৈ পানিতে ইন্দোনেশিয়া। ছবি- সংগৃহীত

একের পর এক ঘূর্ণিঝড় ও টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ অন্তত ২৭৪ জন। 

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

সুমাত্রা ও আচেহের বিভিন্ন গ্রাম, শহর ও উপকূলীয় এলাকায় বন্যার পানি এখনো নেমে না যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় সহায়তা পৌঁছাতে সময় লাগছে।

আচেহ প্রদেশের তামিয়াং জেলার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও নিত্যপণ্যের সংকটে ভুগছেন। তামিয়াংয়ের একটি ইসলামি আবাসিক স্কুলের ছাত্র দিমাস ফিরমানসিয়াহ (১৪) বলেন, বন্যার কারণে তিনি ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা গত এক সপ্তাহ ধরে স্কুল হোস্টেলে আটকা পড়ে আছেন। পানির সংস্থান শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্যার পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সরকারি সহায়তা কেন্দ্র থেকে খাবার ও পানি সংগ্রহ করতে গিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবাও সুবিয়ান্তো কয়েক দিন আগে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করলেও স্থানীয় প্রশাসন এতে একমত নয়। সুমাত্রা ও আচেহ প্রদেশ ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে।

পরিবেশবাদী সংস্থাগুলো বলছে, ইন্দোনেশিয়ায় ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির প্রধান কারণ বন উজাড় এবং অবৈধ খনি কার্যক্রম। তারা চীনের অর্থায়নে পরিচালিত নর্থ সুমাত্রা হাইড্রো এনার্জি ও স্বর্ণ খননকারী এগিনকোর্ট রিসোর্সেসসহ কয়েকটি কোম্পানিকে দায়ী করেছে।

রয়টার্স এ বিষয়ে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

ঘূর্ণিঝড় সেনিয়া এবং তার আগে-পরে আরও কয়েকটি মৌসুমি ঝড় ও ভারী বর্ষণের পর গত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি সুমাত্রা ও আচেহের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসের ঘটনাও বাড়তে থাকে, যার কারণেই মৃতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।

Link copied!