ইথিওপিয়ায় মারবার্গ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে নয়জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সেখানে মারবার্গের প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোকে এই প্রাদুর্ভাবের ‘দ্রুত এবং স্বচ্ছ প্রতিক্রিয়া’ দেখানোর জন্য প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস।
সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে তিনি বলেন, এই দ্রুত পদক্ষেপ এই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশটির প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব প্রদর্শন করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ‘ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের সন্দেহভাজন ঘটনা’ রিপোর্ট হওয়ার পর ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে বলে জানানোর একদিন পরই তারা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

মারবার্গ ইবোলার মতো একই পরিবারের অর্থাৎ ভাইরাসের ফিলোভিরিডি পরিবার (ফাইলোভাইরাস) থেকে এসেছে। এটিকে ইবোলার চেয়েও মারাত্মক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) একে ‘বিরল কিন্তু তীব্র’ হেমোরেজিক জ্বর হিসেবে বর্ণনা করেছে যা মারাত্মক হতে পারে।
মিশরীয় বাদুড় থেকে উদ্ভূত এই ভাইরাস সংক্রমিত ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তু যেমন পোশাক বা বিছানার চাদরের সংস্পর্শ থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর, ফুসকুড়ি এবং তীব্র রক্তপাত। সিডিসির তথ্য অনুসারে মারবার্গের জন্য আলাদা কোনো চিকিৎসা বা টিকা নেই। বিশেষ যত্ন, বিশ্রাম এবং হাইড্রেশনের মাধ্যমে কিছুটা পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
তবে এখন পর্যন্ত আফ্রিকার অন্য কোনো দেশে মারবার্গ ভাইরাসের সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘপ্রধান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এবং সংক্রমিত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য ইথিওপিয়াকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন এবং সীমান্তের বাইরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা মোকাবিলায় সব প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে সংস্থাটি।


সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন