রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:৩০ এএম

থাইল্যান্ড কম্বোডিয়া সং/ঘাত

যুদ্ধ গড়ালো দ্বিতীয় দিনে, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৫, ১১:৩০ এএম

থাইল্যান্ডের সেনা টহল। ছবি- সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সেনা টহল। ছবি- সংগৃহীত

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্তে দুদেশের মধ্যে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে সংঘর্ষ।হামলায় কম্বোডিয়ার বাহিনী ভারী অস্ত্রের পাশাপাশি রকেটও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ থাইল্যান্ডের।এক বিবৃতিতে দেশটির সেনাবাহিনী বলেছে, ‘কম্বোডীয় বাহিনী ভারী অস্ত্র, ফিল্ড আর্টিলারি ও বিএম-২১ রকেট সিস্টেম ব্যবহার করে ধারাবাহিকভাবে গোলাবর্ষণ চালিয়েছে।’ কম্বোডিয়ার এ হামলায় ১৬ থাই নাগরিক নিহতের খবর নিশ্চিত করে ব্যাংকক। পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কম্বোডিয়া সীমান্তে পাল্টা হামলা চালিয়েছে থাই সেনারা। এ হামলায় কম্বোডিয়ার সরকার, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের তথ্য দেয়নি।

২০০৮ ও ২০১১ সালের পর, দুই দেশের মধ্যে গত ১৩ বছরে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা। যার সুত্রপাত হয় থাই সেনাবাহিনীর একজন সদস্য স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা হারানের মধ্য দিয়ে। এ ঘটনার জেরে বুধবার (২৩ জুলাই) থাইল্যান্ড নমপেন থেকে নিজের রাষ্ট্রদূতকে ফিরিয়ে আনে ও কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে।

দুই দেশই সীমান্তের বিতর্কিত একটি এলাকায় সংঘর্ষ শুরুর জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে। প্রথমে হালকা অস্ত্র থেকে গুলিবর্ষণের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ পরে ভারী গোলাবর্ষণে রূপ নেয়। অন্তত ছয় স্থানে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। এলাকাগুলোর ওপর সার্বভৌমত্ব নিয়ে বহু বছর ধরেই দুই পক্ষে বিতর্ক চলছে।

এ সংঘাতে থাইল্যান্ড ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে। এর মধ্যে একটি দিয়ে কম্বোডিয়ার সামরিক অবস্থানে আঘাত হানা হয়। থাই সামরিক বাহিনীর ভাষ্য, এ বিমান হামলার উদ্দেশ্য ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা।অন্যদিকে কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলাকে ‘বেপরোয়া ও নৃশংস সামরিক আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে থাইল্যান্ডের দীর্ঘদিনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র টমি পিগট নিয়মিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং বেসামরিক মানুষের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবরে শোকাহত। অবিলম্বে সংঘর্ষ বন্ধ, বেসামরিক জনগণের সুরক্ষা ও সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।’

এ সংঘাত নিয়ে আজ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকা পাকিস্তানের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ‘অভিযোগহীন ও পূর্বপরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের’ অভিযোগ এনে এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে দ্রুত বৈঠক ডাকারও অনুরোধ জানান।

 

 

 

 

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!