ইন্দোনেশিয়ায় বিনামূল্যে বিতরণ করা খাবার খেয়ে ৩৬৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেশটির সেন্ট্রাল জাভার স্রাগেন শহরে এ ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এই ঘটনা ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্তোর ‘বিনামূল্যে খাবার কর্মসূচি’ র অধীনে সবচেয়ে বড় খাদ্য বিষক্রিয়ার ঘটনা।
এর আগে গত মে মাসে পশ্চিম জাভার এক শহরে একই ধরনের খাদ্য বিষক্রিয়ায় ২০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ওই ঘটনার পর স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, ল্যাব রিপোর্টে খাবারে সালমোনেলা ও ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে।
কর্মসূচিটি তদারকি করা জাতীয় পুষ্টি সংস্থার প্রধান দাদান হিন্দায়ানা রয়টার্সকে জানান, মে মাসের ঘটনার পর রান্নাঘর পরিচালনা ও সরবরাহ ব্যবস্থার মান উন্নত করা হয়েছে। এ ঘটনার পরে সংশ্লিষ্ট খাবারের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্রাগেন সরকারের প্রধান সিগিত পামুংকাস।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী রয়টার্সকে জানান, রাতের বেলা তীব্র পেটব্যথায় তার ঘুম ভেঙে যায়। এরপর থেকে মাথাব্যথা এবং ডায়রিয়ায় ভুগছিলেন। সহপাঠীদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে তিনি বুঝতে পারেন, খাবার থেকেই তার বিষক্রিয়া হয়েছে। দূষিত খাবারের মধ্যে হলুদ ভাত, ডিমের ফালি, ভাজা টেম্পে, শসা ও লেটুস সালাদ, আপেলের স্লাইস এবং এক বাক্স দুধ ছিল বলে জানায় ওই শিক্ষার্থী।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে চালু হয় এই কর্মসূচি। এরপর থেকে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ইতিমধ্যেই একাধিক খাদ্য বিষক্রিয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের বেশি। বিনামূল্যে খাবার প্রকল্পটি খুব দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে।
এর আওতায় ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি মানুষের কাছে খাবার পৌঁছেছে। চলতি বছরের মধ্যে ৮ কোটিরও বেশি মানুষকে এই সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৭১ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ (১০.৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
