ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে একটি ইসলামি বোর্ডিং স্কুল ধসে তিন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপে বহু শিক্ষার্থী আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্কুলটি ধসে পড়ার আগমুহূর্তে শিক্ষার্থীরা আসরের নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানা গেছে। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ সাফি জানান, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মোট ১০২ জনের খোঁজ পাওয়া গেছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রায় ৩৮ জন আটকা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৯১ জন ধ্বংসস্তূপ থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। আহত ৭৭ জনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনাস্থল মূল্যায়ন, ভবনের অবশিষ্ট কাঠামো পর্যবেক্ষণ এবং আটকেপড়াদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য নিরাপদ পথ তৈরি করাই এখন প্রধান কাজ।
কর্তৃপক্ষ জানায়, সিদোয়ারজোর আল-খোজিনি ইসলামি বোর্ডিং স্কুলটির চতুর্থ তলায় কংক্রিট ঢালাইয়ের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এক মাসেরও কম সময়ে ইন্দোনেশিয়ায় এটি দ্বিতীয় বড় ভবন ধসের ঘটনা। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর পশ্চিম জাভার বোগর জেলায় একটি কমিউনিটি হলে কোরআন তেলাওয়াত অনুষ্ঠানের সময় ভবন ধসে তিনজন নিহত হন।