স্পেনের তের্সেরা ফেডারেশন লিগ ফুটবলে ম্যাচ চলাকালীন মাথায় ভয়াবহ আঘাত পেয়ে মাত্র ১৯ বছর বয়সেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন তরুণ গোলরক্ষক রাউল রামিরেজ ওসোরিও।
গত শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কলিন্দ্রেস ক্লাবের হয়ে একটি ম্যাচ খেলার সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
ম্যাচের ৬০তম মিনিটে একটি ক্রস বল ধরতে গিয়ে প্রতিপক্ষ দলের এক ফরোয়ার্ডের সঙ্গে রাউলের সংঘর্ষ হয়। এই গুরুতর সংঘর্ষের ফলেই মাঠে লুটিয়ে পড়েন তিনি এবং মুহূর্তেই অচেতন হয়ে যান।
মাঠেই তরুণ গোলরক্ষকের জীবন বাঁচানোর জন্য শুরু হয় মরিয়া চেষ্টা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কোচ রাফা দে পেনা মুখে মুখে শ্বাস দিয়ে সাহায্য করেন এবং গ্যালারিতে উপস্থিত একজন নার্সিং শিক্ষার্থী সিপিআর দিয়ে তাকে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করেন।
এরপর রাউলকে দ্রুত উত্তর স্পেনের সান্তান্দারের মারকেস দে ভালদেসিলা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই একবার তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। ঘটনার পরপরই ম্যাচটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
গত দুদিন ধরে হাসপাতালের আইসিইউতে (ICU) মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর, সোমবার চিকিৎসকরা রাউলের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
কান্তাব্রিয়ান ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে যে সংঘর্ষে রাউলের মস্তিষ্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং পরে তাকে ব্রেন ডেড ঘোষণা করা হয়।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, পরিবারের সম্মতিতে ১৯ বছর বয়সি এই প্রতিশ্রুতিশীল ফুটবলারের অঙ্গদান করা হচ্ছে।
রাউলের ক্লাব কলিন্দ্রেস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আমাদের গোলরক্ষক রাউল রামিরেজ গুরুতর আঘাত পেয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমরা তার পরিবারের পাশে আছি।’
কান্তাব্রিয়ান ফুটবল ফেডারেশন এই ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে এবং পরবর্তী রাউন্ডের সমস্ত ম্যাচে প্রয়াত গোলরক্ষকের প্রতি সম্মান জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অপরদিকে, স্পেনের শীর্ষ দুই ফুটবল সংস্থা, রিয়াল মাদ্রিদ এবং লা লিগা উভয়েই সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছে।