ঢাকা মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি স্থগিত করল থাইল্যান্ড

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশের শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। ছবি- সংগৃহীত

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড। সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে সেনা আহত হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেয় দেশটি। মাত্র দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে শান্তি চুক্তিতে সই করেছিল দুই দেশ।

থাই সরকারি জানায়, কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী সিসাকেত প্রদেশে ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে কয়েকজন থাই সেনা আহত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কম্বোডিয়া জানিয়েছে, তারা এখনো চুক্তি বাস্তবায়নের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। গত জুলাইয়ে সীমান্ত সংঘর্ষে ৪০ জনের বেশি নিহত হওয়ার পর স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সম্প্রতি এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, গত ২৬ অক্টোবরে ট্রাম্পের এশিয়া সফরে মালয়েশিয়ায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই দেশ এই চুক্তিতে সই করে। যদিও থাইল্যান্ড এটিকে ‘শান্তি চুক্তি’ বলতে অস্বীকৃতি জানায়।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল সোমবার (১০ নভেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি একমত, কারণ ‘নিরাপত্তা হুমকি প্রকৃতপক্ষে কমেনি’।

এদিকে থাই সংবাদমাধ্যম ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, সীমান্ত টহলের সময় বিস্ফোরণে আহতদের একজনের পা হারাতে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুতিন মঙ্গলবার আহত সেনাদের দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে এই সীমান্ত বিরোধের সূত্র প্রায় এক শতাব্দী আগে। মূলত ফরাসি উপনিবেশিক শাসন শেষে সীমান্তরেখা নির্ধারণ করার পর থেকেই উভয় দেশের মধ্যে এই বিরোধ শুরু হয়েছিল।

এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে। আর সর্বশেষ সংঘাতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ। তবে সংঘাত শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয় এবং অক্টোবরে মালয়েশিয়ায় স্বাক্ষরিত চুক্তিতে দুই দেশ ভারী অস্ত্র প্রত্যাহার ও একটি যৌথ পর্যবেক্ষক দল গঠনে সম্মত হয়।

চুক্তির পরবর্তী ধাপে থাইল্যান্ডে আটক ১৮ কম্বোডিয়ান সেনাকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল।