পাকিস্তানের বহুল আলোচিত ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী কার্যকর হওয়ার পরপরই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মানসুর আলী শাহ এবং বিচারপতি আথার মিনল্লাহ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। দু’জন বিচারপতিই তাদের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছেন বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ।
এর আগের দিন জাতীয় পরিষদে সংশোধনীর পরিবর্তিত খসড়া অনুমোদনের পর বৃহস্পতিবার সিনেটও তীব্র বিরোধীর মধ্যেই বিলটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় (৬৪ ভোটে) পাস হয়। আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন, যাতে জাতীয় পরিষদের করা সংশোধনীগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।
১৩ পৃষ্ঠার পদত্যাগপত্রে বিচারপতি শাহ সংশোধনীকে পাকিস্তানের সংবিধানের ওপর গুরুতর আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, সংশোধনীটি সুপ্রিম কোর্টকে ভেঙে দিচ্ছে, বিচারব্যবস্থাকে কার্যনির্বাহী শাখার নিয়ন্ত্রণে নস্যাৎ করছে এবং দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর মূল ভিত্তিকে আঘাত করছে।
তিনি আরও লিখেছেন, জাতির সর্বোচ্চ আদালতের ঐক্য ভেঙে দিয়ে এই সংশোধনী বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সৎ অবস্থানকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করেছে এবং দেশকে কয়েক দশক পেছনে ঠেলে দেবে। ইতিহাস সাক্ষী যে, এমন সাংবিধানিক বিকৃতি টিকে থাকতে পারে না; একসময় তা উল্টে যাবে—কিন্তু তার আগে গভীর প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষত রেখে যাবে।
বিচারপতি আথার মিনল্লাহ তার পদত্যাগপত্রে একই ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

