জার্মানি ও অন্যান্য পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে রাশিয়ার অভ্যন্তরে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে রুশ সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপরও এখন পাল্টা হামলা চালাতে পারবে কিয়েভ।
সোমবার (২৬ মে) বার্লিনে ইউরোপীয় একটি ফোরামে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জ এ ঘোষণা দেন। সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মার্জ বলেন, ‘ইউক্রেনকে সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহারে আর কোনো ভূখণ্ড-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতা নেই—তা জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স কিংবা আমেরিকার পক্ষ থেকেই হোক না কেন।’
এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) রাশিয়ার চালানো একাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ হয়। এসব হামলায় অন্তত ২০ জনের বেশি নিহত এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। হামলায় শিশুও নিহত হয়েছে বলে জানা যায়।
রাশিয়ার সাম্প্রতিক এ হামলার পরই ইউক্রেনের পাল্টা জবাবের সক্ষমতা বাড়াতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তবে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ একে ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক’ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, ‘এটি রাজনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করবে।’
এ বিষয়ে রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইউক্রেন যদি পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা চালায়, তাহলে তা ন্যাটোর সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমতুল্য হবে। প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কথাও বলেছে মস্কো।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামী বুধবার বার্লিন সফরে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
মার্কিন রাজনীতিতেও এ ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘পাগল’ বলে মন্তব্য করলেও জেলেনস্কির কিছু বক্তব্যকে ‘উসকানিমূলক’ বলেছেন।
মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলি, লিন্ডসি গ্রাহাম ও কংগ্রেসম্যান ব্রায়ান ফিটজপ্যাট্রিক ও ডন বেকন প্রেসিডেন্টকে রাশিয়ার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।