ব্রিকস হলো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর একটি আন্তর্জাতিক জোট। জুলাইয়ে ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তাতে যোগ দিবেন না পুতিন।
মূলত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুকির জন্য ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন।
২০২২ সাল থেকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান এবং তার জন্য ২০২৩ সালে আইসিসি পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
অভিযোগ, ইউক্রেন আগ্রাসনের সময় সেখানকার শিশুদের অবৈধভাবে রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর এমন অভিযোগেই আইসিসির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে ব্রাজিলের দায়িত্ব ছিল, পুতিন সেখানে পা রাখলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে এমন কথাও চাউর ছিলো।
এজন্য ব্রিকস সম্মেলনে স্বশরীরে না গিয়ে ভার্চুয়ালি অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুতিন। তবে এ বিষয়ে ক্রেমলিনের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, আইসিসির বিধিনিষেধ ও জটিলতা বিবেচনায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমা একাধিপত্যের বিরুদ্ধে এক বিকল্প শক্তি হিসেবে ব্রিকসকে তুলে ধরেন পুতিন। রাশিয়া, চীন, ভারত, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত এই জোট রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার বার্তা দিলেও, আইনি জটিলতা এড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।
২০২৩ সালেই আইসিসির পরোয়ানা জারির পর পুতিন মঙ্গোলিয়া সফরে যান, যেটি আইসিসির সদস্য। তখন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে মঙ্গোলিয়া সরকার। এবার সেই ঝুঁকি আর নিতে রাজি নন পুতিন।
আপনার মতামত লিখুন :