শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০২:১৩ এএম

নিম্নমানের ছাপায় জড়িত ৭০ প্রেস

উৎপল দাশগুপ্ত

প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০২:১৩ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য বিনা মূল্যে পাঠ্যবই ছাপার কাজ করেছে ১১৬টি প্রেস। এই প্রেসগুলোর মধ্যে কমপক্ষে ৭০টি প্রেসের বিরুদ্ধে নিম্নমানের বই সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ছাপার কাজ করা মোট প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬০ শতাংশ নিম্নমানের বই সরবরাহে জড়িত। 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। কঠোর গোপনীয়তা বজায় রেখে তৈরি করা এই প্রতিবেদন ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শিগগিরই এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনা হবে।

এদিকে মাধ্যমিক স্তরে ১৫ লাখ বই নিম্নমানের বলে ‘পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন’ (পিএলআই) এজেন্টের প্রতিবেদনে বলা হলেও বাস্তবে এর সংখ্যা কোটিরও বেশি হতে পারে বলে দাবি সূত্রের। এনসিটিবির মনিটরিং কমিটিতে যুক্ত একটি সূত্র জানিয়েছে, সারা দেশের মাঠ থেকে তাদের দ্বারা সংগৃহীত নমুনার মধ্যে ৩০ শতাংশ নিম্নমান পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্রের দাবি, কাগজের প্রধান দুটি প্যারামিটার-বার্স্টিং (শক্ত) ও ব্রাইটনেস (উজ¦লতা) পিএলআইয়ের পরীক্ষার আওতায় না থাকায় নিম্নমানের বইয়ের প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি।   

এর আগে এনসিটিবির নিয়োগ করা ‘পোস্ট ল্যান্ডিং ইন্সপেকশন’ (পিএলআই) এজেন্টদের প্রতিবেদনে প্রাথমিক স্তরে ৪৮টি ও মাধ্যমিক স্তরে ২৯টি প্রেসের বিরুদ্ধে নিম্নমানের বই সরবরাহের তথ্য উঠে এসেছে। তবে বেশ কিছু প্রেস পিএলআই প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে এনসিটিবিতে পুনঃতদন্তের আবেদন করেছে।  

এদিকে মাধ্যমিক স্তরে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিম্নমানের বই দেওয়ার অভিযোগে মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ‘প্রি-ডেলিভারি ইন্সপেকশন (পিডিআই)’ এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে এনসিটিবি। স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট শর্তের উল্লেখ থাকার পরও শিক্ষার্থীরা কেন নিম্নমানের বই পেলÑ তার ব্যাখ্যা চেয়ে পিডিআই এজেন্ট ‘ব্যুরো ভেরিটাসকে’ গত মঙ্গলবার শোকজ চিঠি দিয়েছে এনসিটিবি। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে পিডিআই এজেন্টকে এর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে।   

অন্যদিকে মাধ্যমিক স্তরে পিএলআই এজেন্টের প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করে ৬টি প্রেস এনসিটিবিকে বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ করে। এনসিটিবিও বিষয়টি তদন্ত করে। ইতিমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। আজ শনিবার এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেওয়া হতে পারে। ৬টি প্রেসের মধ্যে ২-১টির বিরুদ্ধে পিএলআই প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ সঠিক। 

তবে অধিকাংশের ক্ষেত্রে পিএলআই এজেন্টের অভিযোগের সপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে প্রেসগুলোর সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য পিএলআই এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও বইয়ের মান নিশ্চিত  করতে কিছু পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ থাকতে পারে তদন্ত কমিটির সুপারিশে। এদিকে এনসিটিবির মনিটরিং কমিটি ও তদন্ত কমিটিতে যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিম্নমানের বই সরবরাহ বন্ধ না হওয়া ও নানা অনিয়মের অভিযোগের কারণে আগামীতে পিডিআই-পিএলআই এজেন্ট নিয়োগ বন্ধ করার চিন্তা করা হচ্ছে। 

নিম্নমানের বই সরবরাহে যুক্ত ৭০ প্রেস : বই ছাপা থেকে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা পর্যন্ত সব কাজ তদারকির দায়িত্ব পিডিআই এজেন্টের। জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বই পৌঁছার পর সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে বইয়ের মান যাচাই করার দায়িত্ব পিএলআই এজেন্টের। খোলা দরপত্রের মাধ্যমে এনসিটিবি দুই এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। ইতিপূর্বে এভাবেই বইয়ের মান যাচাইয়ের কাজ করা হলেও, এবারই প্রথমবার এনসিটিবি পিএলআই এজেন্টদের পাশাপাশি নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে বইয়ের মান যাচাইয়ের উদ্যোগ নেয়। 

মাঠপর্যায়ে শিক্ষার্থীর বিপরীতে বইয়ের চাহিদা ও নিম্নমানের বই যাচাই ছিল মনিটরিং কমিটির কাজ। ৩২টি কমিটির মাধ্যমে ৬৪ জেলা থেকে বইয়ের নমুনা সংগ্রহ করে মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন জমা দেয়। পরবর্তীতে মনিটরিং কমিটির জেলাওয়ারী প্রতিবেদন কঠোর গোপনীয়তায় সংকলিত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। এই প্রতিবেদনে ৭০টি প্রেস নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছে বলে তথ্য উঠে এসেছে। এই প্রেসগুলোর মধ্যে বড়-ছোট সবাই রয়েছে।

মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অপারগতা প্রকাশ করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ইতিমধ্যে এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ও দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রণালয়। নিয়ম অনুযায়ী পিএলআই এজেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার রয়েছে এনসিটিবির। পিএলআই প্রতিবেদনে যাদের বিরুদ্ধে আভযোগ এসেছে, তাদের বই ‘রিপ্লেস’ করতে বলা হয়েছে। তারপরও যদি কোনো অনিয়ম ধরা পড়ে, তাহলে তাদের জরিমানা হবে। 

চেয়ারম্যান জানান, সংশ্লিষ্ট শীর্ষ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শীঘ্রই মনিটরিং কমিটির রিপোর্টের বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।

নিম্নমানের বইয়ের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ: জেলা-উপজেলা থেকে সংগ্রহ করা নমুনা বইয়ের কাগজের প্রধান দুটি প্যারামিটার বার্স্টিং ও ব্রাইটনেস পরীক্ষা করা হলে নিম্নমানের বইয়ের সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যেত বলে দাবি করেছে একাধিক সূত্র। 

কিন্তু এনসিটিবির পিএলআইয়ের স্পেশিফিকেশন অনুযায়ী বইয়ের কাভার পেপারের জিএসএম, ইনার পেপারের জিএসএম, বইয়ের আয়তন, বাইন্ডিং ও প্রিন্টিংয়ের মান পরীক্ষা করা হয়েছে। সূত্র মতে, সাধারণত যে প্রেসগুলোর বিরুদ্ধে বরাবর নিম্নমানের বই সরবরাহের অভিযোগ করা হয়, তারা এই বিষয়গুলো কমবেশি ঠিক রাখার চেষ্টা করে। ফলে পিএলআইতে তাদের বইয়ের নিম্নমান ধরাটা কঠিন হয়। 

এর আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে এনসিটিবির নিয়োগ করা ইন্সপেকশন এজেন্ট যথাক্রমে ৪৮টি ও ২৯টি প্রেস নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছে বলে তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করে। সূত্র জানায়, বইয়ের মান যাচাইয়ে বিশেষ করে মাধ্যমিক স্তরে এনসিটিবির মনিটরিং কমিটির প্রতিবেদন ও পিএলআই এজেন্টের প্রতিবেদনে ব্যাপক পার্থক্য লক্ষ্য করা গেছে। পিএলআই এজেন্টের প্রতিবেদনে নিম্নমানের বইয়ের প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি বলে অভিযোগ এনসিটিবি কর্মকর্তাদের।  

এনসিটিবির মনিটরিং কমিটি ও তদন্ত কমিটির সঙ্গে যুক্ত একাধিক সূত্রও বিষয়টিতে একমত প্রকাশ করে বলেন, পিডিআইতে যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়, পিএলআইতেও সেগুলো দেখা উচিত। বই ছাপার পর ওই দুটি প্যারামিটারে কিছুটা পার্থক্য হলে ব্যাপক পার্থক্য ও অনিয়ম ধরতে সহায়ক হতে পারে। 

কাগজের প্রধান দুটি প্যারামিটার পরীক্ষা হলে নিম্নমানের বইয়ের সংখ্যা অনেক বেড়ে যেতÑ এমন প্রশ্নে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, অফিসিয়ালি পিএলআই রিপোর্টে আসা ১৫ লাখ বই ছাড়া এভাবে কিছু বলা সঙ্গত হবে না। তিনি বলেন, বই ছাপার পর কাগজের বার্স্টিং ও ব্রাইটনেস কমে যায়। তাই এই দুটি বাদ দিয়েই পিএলআই করা হয়েছে। এ ছাড়া আগে থেকেই এভাবে পিএলআই করা হয়। 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রধান সায়েন্টিফিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, পিএলআইতে ডেফিনিটলি কাগজের বার্স্টিং পরীক্ষা করা উচিত। ছাপার পর কাগজের ব্রাইটনেস কিছুটা কমলেও বার্স্টিং প্রায় একই থাকে। আবার ব্রাইটনেসও কোথায় করাচ্ছে, কীভাবে করাচ্ছে তার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণে পিডিআই ও পিএলআই উভয় ক্ষেত্রে একই ধরনের স্পেসিফিকেশনে পরীক্ষা করা প্রয়োজন। 

পিডিআই এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মাধ্যমিক স্তরে বইয়ের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা পিডিআই এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে এনসিটিবি। সুনির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী বইয়ের কাগজ পরীক্ষার কথা থাকলেও কেন তা হলো নাÑ তা জানতে এজেন্টের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। ব্যাখ্যা পাওয়ার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

জানা গেছে, এনসিটিবির দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী বইয়ের কাজ শেষ ৮০ শতাংশ ও পিএলআইয়ের পর বাকি ২০ শতাংশ টাকা পাবে পিডিআই এজেন্ট। এ হিসেবে পিডিআই এজেন্টের ২০ শতাংশ টাকা বকেয়া রয়ে গেছে এনসিটিবির কাছে। 

এ বিষয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, নিম্নমানের বইয়ের বিষয়ে পিডিআই এজেন্টের অবশ্যই দায় রয়েছে। আমরা তাকে চিঠি দিয়েছি। উত্তর পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মোট বইয়ের মধ্যে মাত্র ১৫ লাখ নিম্নমান বই সংখ্যার হিসেবে অনেক কম মন্তব্য করে পিডিআই এজেন্ট মো. আফজাল বলেন, আমরা আইএসও স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী ‘র‌্যান্ডম সেম্পল মেথড’ প্রক্রিয়ায় কাজ করেছি। এনসিটিবির নোটিশ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার উত্তর তৈরি করছি।

পিএলআই এজেন্টের বিরুদ্ধে তদন্ত:  মাধ্যমিক স্তরে পাঠ্যবইয়ের মান যাচাইয়ের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান হাই-টেক সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস পিএলআইয়ের কাজ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে ২৯টি প্রেস ১৫ লাখ নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগ ওঠা প্রেসগুলোর মধ্যে মাস্টার সিমেক্স, জিতু প্রিন্টিং প্রেস, পাঞ্জেরী প্রিন্টার্স, লেটার অ্যান্ড কালার ও অ্যামাজনসহ ৬টি প্রিন্টার্স পিএলআই প্রতিবেদনকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ আখ্যা দিয়ে এনসিটিবিকে পুনর্তদন্তের অনুরোধ জানায়। 

এ বিষয়ে এনসিটিবি সূত্র জানায়, প্রতিবেদনে অভিযুক্ত ২৯টি প্রেসের মধ্যে ৬টি প্রেস পিএলআই এজেন্টের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য এনসিটিবির বিশেষজ্ঞ ড. ইকবাল হায়দারের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে তাদের প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে। আজ শনিবার এনসিটিবি চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হতে পারে। 

তদন্তর প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না বলে তদন্ত কমিটির প্রধান ড. ইকবাল হায়দার রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, যে ৬টি প্রতিষ্ঠান পিএলআইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, আমরা শুধু সেই প্রেসগুলোর বই সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে সত্যতা যাচাই করছি। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির কোনো পর্যবেক্ষণ থাকবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পিডিআই-পিএলআই নিয়ে নানান কথাবার্তা হচ্ছে। পর্যবেক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি চিন্তায় রয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর পিএলআই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানিয়ে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, আমি শুনেছি, প্রতিবেদন তৈরি হয়েছে। হাতে পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত। তবে তিনিও মনে করেন, পিডিআই-পিএলআই দিয়ে কাজের কাজ কিছু হচ্ছে কি না তা আলোচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এসেছে। 

Shera Lather
Link copied!