প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় জনজীবন আরও সহজ হয়েছে। সকালের এলার্ম থেকে মহাকাশ গবেষণায়, কোথায় নেই প্রযুক্তির ছোঁয়া। নতুন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবস্থায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
চ্যাটজিপিটির এক ক্লিকে ঘিবলি ট্রেন্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই শোনা গেল নতুন খবর। এবার দুর্গাপূজাতেও নাকি ছোঁয়া লাগবে ব্যবহার হবে এআই প্রযুক্তির।
জানা গেছে, কলকাতার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি হবে উল্টোডাঙার কাছে কবিরাজ বাগান মণ্ডপ। পূজা কমিটি জানিয়েছে, মণ্ডপটি লম্বায় ১৫০ ফুট। চওড়ায় ৪০ ফুট। মূল মণ্ডপের উচ্চতা ৬০ ফুট। এখানেই থাকবে দুর্গার প্রতিমা। প্রতিমা হবে একচালার, সাবেকি। প্রতিমার উচ্চতা হবে ৫০ ফুট।
এছাড়াও কখনো বনগাঁ লোকাল, তো কখনো কলকাতা মেট্রোর আদলে সেজে দুর্গাপূজায় উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে উত্তর কলকাতার জগৎ মুখার্জি পার্ক। সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস ও আধুনিক বিজ্ঞানকে একসুতোয় বাঁধতে চলেছেন শিল্পী সুবল পাল।
মানব জীবনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপস্থিতি, তার প্রভাব, প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতখানি, আবার কখন সেই হয়ে ওঠে ‘অসুর’, মণ্ডপজুড়ে তারই প্রতিফলন ঘটবে।
সুবল পালের ভাষ্য, ‘একটা সময় যখন কম্পিউটার এলো, তখনও অনেকে রে রে করে উঠেছিল। কিন্তু দেখা গেল, তা মানুষের হীতেই ব্যবহৃত হয়েছে। এখন এআই একটা ঘরেই গোটা পৃথিবী তৈরি করে দিতে পারে। বলা ভালো মানুষের জীবনের দখল নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। পরবর্তীতে তা মানুষের আচরণ আর ক্ষমতায় কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই আমার কাজে ধরা পড়বে।’
আর প্রতিমা? সেখানেও কি থাকবে প্রযুক্তির ছোঁয়া? পূজার এত মাস আগে সবটা বলে দিতে একেবারেই নারাজ শিল্পী। তবে এটুকু বলে দিয়েছেন, সেখানেও থাকবে চমক।
সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি ও বিশ্বাসে (ধর্মীয় অনুভূতি) দর্শনার্থীদের যাতে আঘাত না লাগে, সেকথা মাথায় রেখেই দুর্গাকে গড়ে তুলবেন সুবল পাল। সবমিলিয়ে শিল্পীর অভিনব সৃজনে কলকাতার দুর্গাপূজা আবারও গোটা বিশ্বকে বিস্মিত করবে।
আপনার মতামত লিখুন :