ভারতের আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় ৫ চিকিৎসকসহ ১৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এখনো উদ্ধারকাজ চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে মেঘানি নগরে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের হোস্টেলে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। এতে ওই আবাসিক বাড়িটির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ পর্যন্ত ৫ জন চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৭০জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, বিমানটি যে ভবনে বিধ্বস্ত হয় সেখানে প্রায় ৫০ জন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ৫ জন নিহত হয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম এবিপি আনন্দ জানিয়েছে, বিমানটি যে আবাসিক ভবনে ভেঙে পড়ে সেখানে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা থাকতেন। দুর্ঘটনার সময় সেখানে থাকা প্রায় সবাই মারা গেছেন। এ ছাড়া ভবনের নিচের তলায় থাকা বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে ভারতীয় বিমানটি ওড়ার পরপরই আহমেদাবাদের কাছে একটি লোকালয়ে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন দুজন পাইলট, ১০ জন কেবিন ক্রু ও ২৩০ জন যাত্রী।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, বিমানটিতে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডিয়ান ও পর্তুগালের ৭ জন নাগরিক ছিলেন।
সর্বশেষ তথ্য পাওয়া পর্যন্ত মোট ১৭০জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিমানটি বিধ্বস্তের পর বিশালাকৃতির আগুনের কুণ্ডলি দেখা গেছে। এরপর ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিমানটি ৮২৫ ফুট উঁচু থেকে পড়েছে। দুর্ঘটনার পরপর বিমানবন্দরের আশপাশের একাধিক সড়ক বন্ধ করা হয়েছে।