ভারতের বেঙ্গালুরুতে মুসলিম পরিবারকে ‘জানে মেরে ফেলার’ হুমকি দিয়েছেন এক বিজেপি নেতা ও তার দলবল। মুসলিম পরিবারটি বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিল, তখন তাঁদের গাড়ি আটকিয়ে জাতিগতভাবে হেনস্থা ও মারধর করেন তারা। এ সময় গাড়ি আটকে অশ্রাব্য গালিগালাজ করা হয়।
মারধরের পর পরিবারের সদস্যদের বন্দুক দেখিয়ে প্রাণে মারার হুমকি দেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ অনন্ত কুমার হেগড়ে ও তার দলবল।
ঘটনাটি সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় বেঙ্গালুরুর টুমকুরুর দাবাসপেট এলাকায় ঘটে। প্রাক্তন সাংসদ ও তাঁর দলবল বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত মুসলিম পরিবার। পুলিশ জানায়, বিজেপি নেতার গাড়ির চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানান, হেগড়ের গাড়ি অন্য একটি গাড়ি ওভারটেক করে। তারপর হেগড়ের গানম্যান ও ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে এক ব্যক্তিকে মারধর করেন। তবে মন্ত্রী জানান, হেগড়ে নিজে মারধরে জড়িত ছিলেন না এবং তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে আক্রান্ত পরিবারটির সদস্য সাইফ খান জানান, তাঁর গাড়ি যখন থামানো হয়, তখন তিনজন ব্যক্তি এসইউভি থেকে নেমে এসে তাদের ওপর হামলা চালায়। এক ব্যক্তি সাইফের কলার চেপে ধরে, অন্যজন সলমনকে মারধর করে। এ ছাড়া সালমানের তিনটি দাঁত ভেঙে দেওয়া হয়।
হেগড়ে পুরো ঘটনার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং উসকানি দিচ্ছিলেন। সাইফের দাবি, তিনি (বিজেপি নেতা) চিৎকার করে বলেছিলেন, ‘এরা সব গ্রুপের, মারো এদের।’ গালিগালাজের একপর্যায়ে হেগড়ে মুসলিমদের জন্য ব্যবহৃত জাতিগত অপমানমূলক শব্দ ‘সবরু’ ব্যবহার করেন।
এ ছাড়া সাইফের মা গুল উন্নিসাকে মারধর করার সময় অনন্ত কুমার হেগড়ে তাঁর গলা টিপে ধরেন এবং মাটিতে ফেলে মারধর করেন। সাইফের কাকা ইলিয়াস খানকেও মারধরের শিকার হতে হয়। এ সময় হেগড়ের গানম্যান পিস্তল বের করে পরিবারের সবাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেন, ‘জানে মেরে দেব’।
এ ঘটনায় দাবাসপেট থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :