ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কোনোভাবেই এনআরসি চালু হবে না জানিয়ে প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২০২৯-এর আগেই মুখ থুবড়ে পড়বে মোদি সরকার। এ সময় ভারতীয় গণতন্ত্রের ভিত ধ্বংস করার জন্য মোদি সরকারকে দায়ী করেন তিনি। বাঙালি বিদ্বেষ ইস্যুতে সোমবার (২৮ জুলাই) বীরভূম জেলার বোলপুরে ‘ভাষা আন্দোলন’ কর্মসূচিতে এ বক্তব্য রাখেন তিনি।
বক্তৃতায় বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুলে মমতা বলেন, ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার দেশের ভিত ধ্বংস করছে। বিরাট গেম প্ল্যান চলছে। কিন্তু বাংলার মানুষ মাথা নত করবে না। আমরা লড়তে জানি, লড়াই করে বাঁচতে জানি। দরকার হলে জীবন দেব, আমার ভাষা কেড়ে নিতে দেব না। এই সরকার ২০২৯ পর্যন্ত থাকবে না।’
বাংলা ভাষাকে নিরন্তর অবমাননা করা হচ্ছে এমন অভিযোগ করে মমতা বলেন, বাংলা বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি মানুষের ভাষা। তবু দিল্লিতে, হরিয়ানায়, অসমে গুজরাটে, এমনকি ওড়িশাতেও বাংলা বললেই হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে। দিল্লিতেও এমন ঘটনা ঘটেছে গতকাল। একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে বাংলা ভাষা বলায় হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ওরা বলছে বাংলায় দেড় কোটি রোহিঙ্গা রয়েছে, যাদের নাম বাদ যাবে ভোটার তালিকা থেকে। এত রোহিঙ্গা কোথা থেকে এল? গুজরাটে বসে বাংলার ভোটার তালিকা তৈরি হচ্ছে! আমি বেঁচে থাকতে এনআরসি করতে দেব না। দরকার পড়লে জীবন দেব, কিন্তু ভাষা কেড়ে নিতে দেব না।’
এ সময় বাংলাদেশে বাঙালি পুশব্যাকের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যাকে তাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও মানুষকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করা হচ্ছে। এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।
আপনার মতামত লিখুন :