ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। রোববার আইআইটি-মাদ্রাজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি লস্কর-ই-তাইয়েবা (এলইটি) ও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের (টিআরএফ) পাশাপাশি হামাসের নামও ভারতের উদ্বেগের তালিকায় যুক্ত করেন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, ‘হামাস, এলইটি, টিআরএফসহ আরও কিছু নাম আছে… এরা ভারতের উদ্বেগের অংশ হয়ে থাকবে।’
ভারত এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে চললেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিশ্বের বড় অংশ আগেই এ তালিকায় হামাসকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
হামাস জাতিসংঘের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় না থাকলেও ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ‘ইসরায়েলে’ হামলার জন্য পরিচিত। ঐতিহাসিকভাবে কাশ্মীর সংঘাতে হামাসের সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকলেও চলতি বছরের শুরুতে ভারতীয় নিরাপত্তা মহলে এর নাম উঠে আসে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের ‘কাশ্মীর সংহতি দিবস’-এ পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) লস্কর-ই-তাইয়েবা, জইশ-ই-মোহাম্মদের সঙ্গে হামাস সদস্যদের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে ভারতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্য দেওয়া হয় এবং দাবি করা হয়, কাশ্মীর ‘ভারতের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হবে’। বিষয়টি ভারতের নিরাপত্তা মহলে উদ্বেগ সৃষ্টি করে।
এ বছরের ২২ এপ্রিল পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার আগে থেকেই হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছিল ‘ইসরায়েল’। তবে পশ্চিম এশিয়ায় ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার কৌশলগত কারণে ভারত এতদিন এ পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে জেনারেল দ্বিবেদীর এই মন্তব্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ভারতের নিরাপত্তা নীতি ও হুমকি মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন