ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির রাস্তায় থাকবে না কোনো পথকুকুর। তাদের সরিয়ে রাখা হবে আশ্রয়কেন্দ্রে। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের এমন আদেশের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন প্রাণীপ্রেমীরা। তারা বলছেন, রাস্তা থেকে কুকুর সরানোর সিদ্ধান্ত অমানবিক। এরইমধ্যে মঙ্গলবার বিক্ষোভ চলাকালে ৪০ থেকে ৫০ জন প্রাণীপ্রেমীকে আটক করেছে পুলিশ। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিয়া গেটে প্রাণীপ্রেমী ও প্রাণী অধিকারকর্মীরা জড়ো হয়ে আদালতের নির্দেশের প্রতিবাদ জানান। তবে পুলিশ দ্রুতই তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় এবং অনেককে আটক করে। এক প্রাণীপ্রেমী বলেন, ‘আমি প্রাণীদের খাবার দেওয়ার মতো কাজ করি, তাই আমাকে আটক করা হচ্ছে।’
এর আগে রাজধানী নয়াদিল্লিতে জলাতঙ্কে মৃত্যুর ঘটনার প্রেক্ষিতে দিল্লি সরকার ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে রাস্তার কুকুর ধরে শহরের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আটকে রাখার জন্য এবং জনসমক্ষে মুক্ত না করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
এছাড়া কুকুরদের সরানোর কাজে বাধা দিলে প্রাণীপ্রেমী বা কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেন, ‘যদি কুকুরদের ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা আমাদের নজরে আসে, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেব। যদি কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কর্তৃপক্ষের কাজে বাধা দেয়, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা জানান, এলাকায় থাকা রাস্তার কুকুর সরিয়ে নেওয়া কোনো সমাধান নয়। বরং প্রাণী জন্মনিয়ন্ত্রণ (এবিসি) বিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে, যেখানে কমিউনিটি কুকুরদের বন্ধ্যত্বকরণ ও টিকাদানের পর পুনরায় এলাকায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
একজন বিক্ষোভকারী জানান, ‘কুকুর কামড়ানো ও জলাতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা অতিরঞ্জিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা অযথা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।’
পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস ইন্ডিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছে, “ওরা পথকুকুর নয়, বরং কমিউনিটি ডগ। সুখী সহাবস্থানের সমাধান হলো ‘বন্ধ্যত্বকরণ’, ‘উচ্ছেদ’ নয়। বন্ধ্যত্বকরণ প্রক্রিয়া কুকুরদের ভালোভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ দেয় এবং মানুষেরা সঙ্গে সংঘাত কমায়।”
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন