বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আসামের ‘অরক্ষিত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে’ বসবাসকারী আদি বাসিন্দাদের সুরক্ষার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বলেন, এই লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল খোলা হয়েছে। সেখানে অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা যাবে। গত মে মাসে আসাম মন্ত্রীসভা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ বার সেটি কার্যকর করা হল।
প্রসঙ্গত, মে মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছিলেন, রাজ্যের ভূমিপুত্র ও জনজাতিরা নিজেদের জমিতেই ‘বাংলাদেশিদের’ আক্রমণ ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন। এমন আক্রমণ থেকে ভূমিপুত্ররা যাতে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেন, তার জন্যই এই বিশেষ অস্ত্র প্রকল্পটি চালু করা হবে। ধুবুড়ি, নগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ শালমারা এবং গোয়ালপাড়ার মতো জেলাগুলিতে প্রযোজ্য হবে বলেও তখন জানান তিনি।
কারা অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে আবেদন করতে পারবেন? সরকারের তরফে বলা হয়েছে যাঁরা ভূমিপুত্র তাঁরা পাবেন এই লাইসেন্স। আবেদনকারীদের বয়স অন্তত ২১ বছর হতে হবে। ‘অরক্ষিত, সংবেদনশীল এবং প্রত্যন্ত’ অঞ্চলের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীদের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা বা অপরাধের রেকর্ড আছে কি না, তা দেখা হবে। আবেদনকারীদের অবশ্যই ‘শারীরিক এবং মানসিক’ ভাবে সুস্থ হতে হবে। এ ছাড়াও, ২০১৬ সালের অস্ত্র আইন অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রশিক্ষণের প্রশংসাপত্র থাকতে হবে। তবে কোন কোন এলাকাগুলি ‘অরক্ষিত এবং সংবেদনশীল’ বলা হচ্ছে সেগুলি আবেদন প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ নেই।