ভারতের বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক সফরে বিহারের মুঙ্গেরের ঐতিহাসিক খানকাহ রহমানি মসজিদে বসার দৃশ্যটি যেন হুবহু মিলে গেল তার প্রয়াত বাবা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সফরের সঙ্গে। ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধী যেখানে বসেছিলেন, ঠিক একই স্থানে ৪০ বছর পর আজ বসতে দেখা গেল রাহুলকে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
মাওলানা মোহাম্মদ আলী মুঙ্গরি ১৯০১ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এই খানকাহ রহমানি মসজিদ, যা শুধু সামাজ সংস্কারেই নয়, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। চলমান ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র অংশ হিসেবে রাহুল গান্ধীর সফরসূচিতে আজ ছিল এ মসজিদে যাওয়া। কংগ্রেসের এই নেতা ছয় দিন আগে সাসারাম থেকে শুরু করেছিলেন এই যাত্রা, যা নির্বাচনের আগে বিহারের নানা অঞ্চলে জনসমর্থন গড়ার প্রচেষ্টা।
শুক্রবার সকালে জামালপুর পৌঁছে রাহুল গান্ধী মসজিদে যান এবং মাওলানার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) নেতা তেজস্বী যাদবও তার সঙ্গে ছিলেন। এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক মানুষ ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে খানকাহ রহমানির সম্পর্ক কয়েক দশকের পুরোনো। শুধু রাজীব গান্ধী নন, এর আগে এই খানকাহে এসেছেন মহাত্মা গান্ধী ও জওহরলাল নেহেরুসহ আরও অনেক বিশিষ্ট অতিথি। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় বিপ্লবীদের সহায়তাও দিয়েছে এ খানকাহ।
খানকাহ রহমানির রয়েছে একটি শিক্ষা বিভাগ, যা ১৯২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বর্তমানে রহমানি ফাউন্ডেশন পরিচালনা করে। এটি প্রকৌশলী ও চিকিৎসক হতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জেইই ও নিট-এর মতো ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। এখানে স্মার্ট ক্লাসের সুবিধাও রয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক ও উন্নত শিক্ষার সুযোগ পান।