গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযান জোরদারকরণের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দিয়েছে যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। তিন দেশের যৌথ বিবৃতিতে সতর্ক করে, ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে ও মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দেয় তবে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংকোচ বোধ করবেন না।
যুদ্ধবিরতির কথা শুনতে পাওয়া গেলেও পুনরায় হামলা অব্যাহত এমনকি জোরদারকরণের তথ্য নিশ্চিৎ করেছে বার্তাসংস্থা আলজাজিরা। এ পর্যন্ত সামরিক অভিযানে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৫৩ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। এমনকি মানবিক সহায়তা, গাজায় প্রবেশে বাধা, ও চওড়া মূল্য আদায়ের অভিযোগও উঠেছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বে তীব্র নিন্দা ও যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েলের ওপর চাপ দেওয়া হয়েছে প্রচুর। এবার যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স যৌথ বিবৃতিতে দিয়েছে কড়াবার্তা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ঔষধ ও পানি প্রবেশে বাধা দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। পাশাপাশি পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের বিরোধিতাও করে তারা। দেশগুলো লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে।
ইসরায়েলি নেতাদের গাজাবাসীদের স্থায়ীভাবে অন্যত্র বসতি গড়ার মন্তব্যেরও তীব্র নিন্দা জানায় যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘনের সমান।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, গাজার মানবিক পরিস্থিতি এখন অসহনীয় । তিনি দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের কথা তুলে ধরে জানান, ১৮ জুন নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিতব্য প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। ফ্রান্স ও সৌদি আরব এ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করবে।
এদিকে, সৌদি আরব গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন এবং মানবিক সংকট আরও গভীর করছে। সুইডেনও গাজা দখলের ইসরায়েলি পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ সমালোচনার জবাবে বলেন, পশ্চিমা নেতারা ইসরায়েলকে রক্ষা না করে বরং হামাসকে পুরস্কৃত করছেন। তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের আত্মরক্ষামূলক যুদ্ধ থামানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করা আসলে ৭ অক্টোবরের হামলার মতো আরও ঘটনা উসকে দেবে।
-20250520083643.webp)


