মধ্য গাজার একটি খাদ্য সংরক্ষণাগারে ক্ষুধার্ত মানুষের একটি দল জোরপূর্বক প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)।
ঘটনার সময় গুলির শব্দ শোনা যায় এবং অন্তত দুইজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ সংস্থা এএফপি প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, দেইর আল-বালাহ শহরের আল-ঘাফারি গুদামে লোকজন জোর করে ঢুকে পড়ে আটা ও খাবারের প্যাকেট নিয়ে যাচ্ছে।
এ সময় গুলির শব্দ শোনা গেলেও, কোথা থেকে গুলি চালানো হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত করা যায়নি।
ডব্লিউএফপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তিন মাস ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে।
সম্প্রতি অবরোধ কিছুটা শিথিল করা হয়েছে, তবে পরিস্থিতি এখনো অত্যন্ত সংকটপূর্ণ। গুদামে সংরক্ষিত খাদ্য সামগ্রী বিতরণের উদ্দেশ্যেই রাখা হয়েছিল বলে জানায় সংস্থাটি।
ডব্লিউএফপি আরও সতর্ক করে জানায়, খাদ্য সহায়তা বাড়ানো এখনই অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। একমাত্র এভাবেই সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করা যাবে যে তারা অনাহারে মারা যাবে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে গঠিত বিতর্কিত সংস্থা ‘গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন’ গাজার দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে চারটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করেছে।
সংস্থাটি দাবি করছে, তারা নিশ্চিত করছে যাতে এসব খাদ্য সহায়তা সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে না পড়ে। তবে হামাস শুরু থেকেই বলে আসছে, তারা ত্রাণ সহায়তা চুরি করছে না।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, রাফাহ শহরে জিএইচএফ এর একটি বিতরণ কেন্দ্র চালু হওয়ার পরদিনই সেখানে মানুষ জোরপূর্বক প্রবেশ করে এবং ৪৭ জন আহত হন।
এ ছাড়া জাতিসংঘের ত্রাণবাহী ট্রাক থেকেও অসহায় মানুষদের ত্রাণ লুট করতে দেখা গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে এবং মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
আপনার মতামত লিখুন :