ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আরেক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েরি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ওই হামাস নেতার নাম খলিল আবেদ আল নাসের মোহাম্মদ হাতিব। গ্রেনেড হামলায় ২১ ইসরায়েলি সেনাকে হত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি।
রোববার (০১ জুন) এই দাবি করেছে আইডিএফ। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি দাবির বিষয়ে হামাস এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
আইডিএফের বিবৃতিতে বলা হয়, শুক্রবার গোয়েন্দা অভিযানের সময় ড্রোন হামলায় হামাসের আল-মাওয়াসি ব্যাটালিয়নের সেল কমান্ডার খলিল আবেদ আল নাসের মোহাম্মদ হাতিব নিহত হয়েছেন। তার মরদেহ শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনারা।
তবে ওই বিবৃতিতে হামলার স্থান সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানায়নি আইডিএফ। ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেটের সঙ্গে আইডিএফ যৌথভাবে অভিযানটি পরিচালনা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিহত হামাস নেতাকে ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারির একটি ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনায় নেতৃত্বদানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়, যেখানে গাজার বর্ডার এলাকায় রকেটচালিত গ্রেনেড হামলায় ২১ ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছিল।
এদিকে, একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত একটি বিতর্কিত সংস্থার পরিচালিত ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলা চালায় ইসরায়েল সেনারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা তীব্র ক্ষুধার্ত সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর গুলি চালানো হয়। এতে অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন।
এই ঘটনায় ফিলিস্তিনি জনগণের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও শোক বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও নতুন করে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে।
এর আগে, শনিবার হামাসের গাজা প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত ১৩ মে ওই হামাস নেতাকে হত্যা করা হয় বলে বক্তব্যে নিশ্চিত করেন তিনি। তবে তার মরদেহ প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
গত মাসের শুরুতে দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিলেন মোহাম্মদ সিনওয়ার। বুধবারও নেতানিয়াহু বলেছেন, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :