ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনার ভবিষ্যত এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অভিযোগে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অভিযোগ অস্বীকার করে ইরান এবং ওমানের মধ্যস্থতায় পাচ দফা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার (১৩ জুন) ষষ্ঠ দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন তা নিয়ে এখন অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে।
ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া উত্তেজনা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে ওমান। ওমানের বিবৃতিতে জানায়, ‘এটি অগ্রহণযোগ্য এবং চলমান আগ্রাসী আচরণের প্রতিনিধিত্ব করে যা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ভিত্তিকে ক্ষুণ্ণ করে।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেন, দেশটির পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে বাধা দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন জানিই যে তারা এই আলোচনার কোনও মর্যাদা দেবে না, তা হলে আলোচনার অর্থ কী? সুতরাং আলোচনার এই আমন্ত্রণের লক্ষ্য হচ্ছে জনমতকে প্রতারিত করা।’
অপরদিকে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেছেন, ‘আমাদের নীতি এখনো সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মুখে সরাসরি আলোচনায় না জড়ানো, তবে অতীতের মতো, পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা শীঘ্রই আমাদের নিজস্ব প্রস্তাবিত পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার পরে ওমানের মাধ্যমে অন্য পক্ষের কাছে জমা দেব।
এমতাবস্থায় ইসরায়েলের সামরিক হামলার পর ইরান-যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু আলোচনায় ওমানের ভূমিকা আরও গুরত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।