পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলার জবাবে ইসরায়েলে ‘শত শত বিভিন্ন ধরণের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র' নিক্ষেপ করেছে ইরান।
শুক্রবার (১৩ জুন) তেহরান এটিকে ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া বলে অভিহিত করেছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে অধিকৃত অঞ্চলের দিকে শত শত বিভিন্ন ধরণের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের মাধ্যমে, ইহুদিবাদী সরকারের বর্বর আক্রমণের প্রতি নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়ার অভিযান শুরু হয়েছে।’
তেল আবিব থেকে আসা ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের গর্বিত আকদশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ ভেদ করে ধেয়ে আসছে রকেট এবং শহরের আকাশচুম্বী ভবনের মধ্য থেকে ধোঁয়া উড়ছে।
সিএনএনের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, জেরুজালেম এবং তেল আবিব উভয় স্থানেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার মতে, ‘মধ্য ইসরায়েলে ইরানের আসন্ন আক্রমণের কারণে’ স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর একটি প্রেস ব্রিফিং সংক্ষিপ্ত করা হয়েছিল।
ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র এফি ডিফ্রিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, ঠিক তখনই স্পিকারফোনে একটি ঘোষণা বাজানো হয়। এরপর সম্প্রচারটি সংক্ষিপ্ত করা হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সময় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, তার দেশের সামরিক বাহিনী ইরানের উপর ইসরায়েলের পূর্ববর্তী হামলার ‘শক্তিশালীভাবে জবাব দেবে’ এবং ‘ঘৃণ্য ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থার উপর ধ্বংস ডেকে আনবে’।
ইসরায়েলি পুলিশের একজন মুখপাত্রের মতে, তেল আবিবের একটি সম্প্রদায়ের উপর ইরানি গোলাবারুদ পড়েছে, তবে এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে, ইসরায়েল পুলিশ তেল আবিব জেলার একটি সম্প্রদায়ে গোলাবারুদ পড়ে থাকার খবর পেয়েছে। এই পর্যায়ে, কোনো আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি, তবে সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে।’