মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ইরানে স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট সেবা স্টারলিংক চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।
শুক্রবার (১৩ জুন) স্থানীয় সময় ভোররাতে ইসরায়েলের হামলার পর ইরানে ইন্টারনেট সেবা অনেকটাই সীমিত হয়ে যায়। এর মধ্যেই স্টারলিংক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে- এর কল্যাণে ইরানি জনগণ সরকারের নিয়ন্ত্রণ এড়িয়ে অনলাইনে কথা বলার সুযোগ পাচ্ছেন, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনায় সহায়তা দিচ্ছে।
এক্সের এক পোস্টের মাধ্যমে মাস্ক জানিয়েছেন, প্রায় ১০০টি স্টারলিংক টার্মিনাল সেখানে সক্রিয় রয়েছে। এর মাধ্যমে তিনি ইরানে তথ্যপ্রবাহ সচল রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে অংশ নিচ্ছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ইরান সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এই ব্যবস্থার সুযোগে দেশে সরকারিবিরোধী আন্দোলন সংগঠিত হতে পারে। তবে মাস্ক টুইটারে স্পষ্ট করেছিলেন যে, ‘সংকেত সচল রয়েছে’- অর্থাৎ স্টারলিংক ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে কার্যকর রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। তখন সরকার তথ্যপ্রবাহ নিয়ন্ত্রিত ও বন্ধ করে দিতে শুরু করে। সে মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র মাস্ককে বিশেষ অনুমতি দিয়েছে স্পষ্টতই তথ্যপ্রাপ্তির সুযোগ বজায় রাখার জন্য।
একই বছর ইউক্রেনের যুদ্ধকালীন মুহূর্তেও মাস্ক বিনামূল্যে স্টারলিংক সেবা সরবরাহ করেছিলেন, যা দেশটির আত্মরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
অনেকে বলছেন যে, স্টারলিংক ব্যবহার তথ্যপ্রাপ্তির স্বাধীনতা ও প্রতিবাদ প্রকাশের সুযোগকে সুসংহত করেছে। অপরদিকে, কারও কারও আশঙ্কা- এটা ইরানে হস্তক্ষেপ ও দেশটির সার্বভৌমত্বে আঘাত হানতে পারে।