তেহরানি ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২২৪ জন ইরানি নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় আহত হয়েছেন এক হাজার ২৭৭ জন।
রোববার (১৫ জুন) রাতে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
প্রতিবেদন অনুসারে, দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, ইসরায়েলের বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে ইরান জুড়ে এখন পর্যন্ত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ২৭৭ জন।
ইরানের দাবি, নিহতদের ৯০ শতাংশেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক। কিন্তু ইসরায়েল বলছে, তারা কেবল সামরিক ও পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালিয়েছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) নিশ্চিত করেছে, ইসরায়েলে হামলায় ইরানের অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ-সহ মোট সাতজন শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের হামলায় তিন শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও কমপক্ষে চার শতাধিক ইসরায়েলি আহত হয়েছেন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, রাজধানী তেহরানের একটি ছাত্রাবাসে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আরও বিস্তারিত জানা যায়নি, তবে ছাত্রাবাসটি কেশাভার্জ বুলেভার্ডে অবস্থিত।
সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর একজন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ইসরায়েল শহরজুড়ে একাধিক বেসামরিক আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নিয়াভারানের উত্তরাঞ্চলীয় একটি ভবন এবং আফগান দূতাবাসের কাছে সাবুঞ্চি স্ট্রিটের একটি ভবন। তেহরানের মধ্যবর্তী ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা সৈয়দ খানদানের একটি ভবনে আরেকটি হামলা চালানো হয়।
এদিকে ৭২০টি ইরানি সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালানোর দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা বলছে, প্রায় ৫০টি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে এবং তিন দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ৭২০টিরও বেশি ইরানি সামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে।