মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, আইডিএফ চিফ অফ স্টাফ ইয়াল জামির, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এবং কৌশল-বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার ও অন্যান্য শীর্ষ ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্রের বরাতে দ্য জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৈঠকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট জানিয়েছেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হতেও পারে, না-ও হতে পারে। এই প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন যে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক কোনো পদক্ষেপ নেবেন কি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট কূটনৈতিক সমাধানকেই পছন্দ করেন, তবে এর মূল লক্ষ্যই হবে ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে যেকোনো মূল্যে সরে আসা।’
বৈঠকের তথ্য উল্লেখ করে জেরুজালেম পোস্ট আরও জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বর্তমানে মধ্যপ্রচ্যে তিনটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে, দশটি মার্কিন সামরিক কার্গো বিমানও মধ্যপ্রাচ্যের সেন্ট্রাল কমান্ড ঘাঁটি গুলিতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ওয়াশিংটন যেকোনো সময় যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েল-ইরান চলমান উত্তেজনার মধ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের এমন সক্রিয় সামরিক আলোচনা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।
অন্যদিকে মার্কিন গোয়েন্দাদের এক প্রতিবেদন থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যদি ইসরায়েল ইরানে আরও বড় ধরনের হামলা চালায় বা আমেরিকা সরাসরি সামরিক অভিযানে নামে, তাহলে পুরো অঞ্চল জুড়ে এক বিপর্যয়কর যুদ্ধ বেঁধে যেতে পারে।
এদিকে এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে সামরিক হামলা চালায়, তবে এ এলাকাজুড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’