ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না। এই বিষয়টি বহুবার ইসরায়েলকে আশ্বস্ত করেছে মস্কো বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শনিবার (২১ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো বহুবার ইসরায়েলকে আশ্বস্ত করেছে যে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা করছে না। শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচিতে রাশিয়া ইরানকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কথা বিশ্বাস না করে এখনো হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। কিন্তু কেন মস্কোকে বিশ্বাস করতে পারছে না ইসরায়েল?
সিরিয়া ও ইরানকে ঘিরে উদ্বেগ
রাশিয়া সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র। সিরিয়ায় রাশিয়ার সামরিক উপস্থিতি রয়েছে, বিশেষ করে বিমানঘাঁটি ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এ ছাড়া রাশিয়া প্রায়ই সিরিয়ার মাটি ব্যবহার করে ইরানকে সামরিক সহায়তা সরবরাহ করে। যা ইসরায়েলের প্রধান উদ্বেগ।
রাশিয়া-ইরান সামরিক সম্পর্ক
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সহায়তার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে ইরান রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করেছে, আবার রাশিয়াও ইরানকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করছে। এই পারস্পরিক সম্পর্ক ইসরায়েলের চোখে সন্দেহজনক।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে দ্বিধা
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে প্রকাশ্যে রাশিয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিতে সাবধানী হলেও পশ্চিমা চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল। এই কারণে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান অভিযানে সীমাবদ্ধতা আনতে রাশিয়া ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে।
রাশিয়া-হামাস সম্পর্ক
প্রকাশ্যে ঘনিষ্ঠ না হলেও মস্কো বহু বছর ধরেই হামাসের প্রতিনিধিদের প্রাধান্য দিয়েছে এবং রাজনৈতিক বৈঠক করেছে। ইসরায়েল মনে করে, রাশিয়া হামাসের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কঠোর নয় এবং এতে হামাস আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও বৈধতা পায়।
আন্তর্জাতিক মেরূকরণ
বর্তমান বৈশ্বিক মেরূকরণে রাশিয়া পশ্চিমা বিশ্ব থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন এবং চীন-ইরান-সিরিয়া-উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে জোটবদ্ধ হচ্ছে। এই জোটভুক্ত চক্রের মধ্যে ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থ রক্ষার সুযোগ সীমিত।