রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম

ইরানের ‘ইসফাহান’ পারমাণবিক কেন্দ্রে কী লুকিয়ে আছে?

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম

ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্র।  ছবি- সংগৃহীত

ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্র। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি জানিয়েছে, তারা ইরানের ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। শনিবার (২১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি।

গ্রোসি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী ইসফাহানের একটি সেন্ট্রিফিউজ উৎপাদন কর্মশালায় হামলা করেছে। যা শুক্রবার (১৩ জুন)-এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় লক্ষ্যবস্তু হওয়া তৃতীয় কোনো পারমাণবিক স্থাপনা।

ইসফাহান পারমাণবিক কেন্দ্রে কী আছে?

ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ইসফাহানের উপকণ্ঠে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি ইরানের গুরুত্বপূর্ণ উর্বর কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি। এখানে দুটি প্রধান বিভাগ রয়েছে- ইউরেনিয়াম ফুয়েলপত্র তৈরির কারখানা এবং ইউরেনিয়াম রূপান্তর কেন্দ্র।

এই স্থাপনায় ইউরেনিয়ামকে হেক্সাফ্লোরাইডে রূপান্তর করা হয়, যা পরবর্তীতে সমৃদ্ধকরণের জন্য সেন্ট্রিফিউজে পাঠানো হয়। অর্থাৎ, এখানে কাঁচা পদার্থ থেকে পারমাণবিক শক্তির মূল উপাদান প্রস্তুত করা হয়, যা পারমাণবিক কর্মকাণ্ডের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।

আন্তর্জাতিক পারমাণবিক তত্ত্বাবধায়ক সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সম্প্রতি ইসফাহানকে ইরানের একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেন, ইরান এই কেন্দ্রটি শীঘ্রই চালু করার কথা ভাবছে, যা তারা তাদের বিরুদ্ধে চলমান কূটনৈতিক চাপের জবাবে নিতে পারে।

ইরান দীর্ঘদিন ধরে পারমাণবিক কার্যক্রম নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। বিশেষ করে ইসরায়েল ও পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে যে, এসব স্থাপনা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহৃত হতে পারে। তবে তেহরান বারবার দাবি করে এসেছে যে, তাদের কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ এবং বৈধ।

ইসফাহানের এই স্থাপনাটি যদি চালু হয়, তবে তা ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতাকে আরও বৃদ্ধি করবে এবং অঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এই কারণে আন্তর্জাতিক মহল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

Link copied!