যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসবে না ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই কর্মসূচিকে হুমকি ও যুদ্ধ দিয়ে দমিয়ে রাখা যাবে না।
এদিকে মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানায় ইরানের পারমাণবিক সংস্থা। হামলাকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে তারা জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ-কে ‘ঘটনায় জড়িত থাকার’ অভিযোগ করেছে।
রোববার ভোরে ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান- এই তিনটি প্রধান পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালায় বলে জানিয়েছে ইরান। দেশটির অ্যাটমিক এনার্জি অর্গানাইজেশন (এইওআই) বলে, ‘বর্বর এই হামলা পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির পরিপন্থি’।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি ইরান আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা এই হামলার নিন্দা জানায় এবং ইরানের ‘জাতীয় শিল্পে’ সমর্থন জানায়। তাদের অঙ্গীকার-‘এই জাতীয় শিল্পের অগ্রগতি কখনোই থামবে না’।
এদিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিকভাবে আস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত এবং কার্যক্রমে স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করতে চায়। তবে সতর্ক করেন- ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন যদি বন্ধ না হয়, ইরানের জবাব হবে আরও ধ্বংসাত্মক’।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা ইতিমধ্যেই ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ডজনখানেক সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে এবং এখনো আক্রমণ অব্যাহত রয়েছে।
আইডিএফ মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদরি বলেন, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী এখনো দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে।
ইরানের খুজেস্তান প্রদেশের আহভাজ ও বান্দার-ই মাহশাহর শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানায় দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম।
উল্লেখ্য, ১৩ জুন থেকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় পরিস্থিতি চরম উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
তথ্যসূত্র: ইরনা, সিএনএন, আইডিএফ মুখপাত্র, ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম