যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের পর নেতানিয়াহু হামলা করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরানে সর্বশেষ চালানো হামলার পর নতুন করে আর কোনো আক্রমণ চালানো হয়নি।
এ বিষয়ে ইসরায়েল স্পষ্ট করে জানিয়েছে, ইরানের আগের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে যুদ্ধবিরতির ‘লঙ্ঘন’ হিসেবে অভিহিত করে ইসরায়েল তেহরানের কাছে একটি রাডার স্থাপনা ধ্বংস করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলকে কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন, ‘দেশটি যুদ্ধের সব লক্ষ্য পূরণ করেছে।’ তিনি যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব নিয়েও আত্মবিশ্বাসী বলে উল্লেখ করেন।
তবে ইরানে হামলা চালানোর ঘটনায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলি নেতৃত্বের ওপর বিরক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন আল-জাজিরার যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি ফিল লাভেল। তার মতে, নেতানিয়াহু বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন, এমনটাও অনুভব করছিলেন ট্রাম্প।
এদিকে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিতে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতির শর্ত ঘোষণার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তা লঙ্ঘন করায় তিনি ইসরায়েল ও ইরান- উভয় পক্ষের প্রতিই ক্ষুব্ধ।
তবে আল-জাজিরার প্রতিনিধি লাভেল মনে করেন, ট্রাম্পের ক্ষোভের মাত্রা ইসরায়েলের প্রতি ছিল আরও তীব্র। তার ভাষায়, ‘ট্রাম্প স্পষ্টতই নেতানিয়াহুর ওপর অত্যন্ত বিরক্ত ছিলেন এবং বিশ্বাসভঙ্গের অনুভূতি প্রকাশ করছিলেন।’
উল্লেখ, যুদ্ধবিরতির জন্য নেতানিয়াহুর সম্মতি আদায়ের লক্ষ্যে সোমবার ট্রাম্প তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এরপর ইরানের অবস্থান বুঝতে ও সমর্থন পেতে কাতারের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন ট্রাম্প।
এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে নিজের বার্তায় লিখেছেন, ‘ইসরায়েল, ওই বোমাগুলো ফেলো না। তুমি যদি এটা করো, তা হবে বড় ধরনের লঙ্ঘন। পাইলটদের এখনই ঘরে ফেরাও!’
