ঢাকা বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

ইরানের বিরুদ্ধে আমরা অর্জন করলাম ঐতিহাসিক জয় : নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২৫, ০২:০০ এএম
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

১২ দিনব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাত শেষে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও শুরু হয়েছে বিজয়ের পাল্টাপাল্টি দাবি। যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আবারও প্রাণহানি ঘটায় নতুন করে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আমরা একটি ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছি। এই বিজয় প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি আরও দাবি করেন, আমরা সিংহের মতো জেগে উঠেছিলাম, এবং আমাদের গর্জনে তেহরান কেঁপে উঠেছে। ইরানের আরাক, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দিয়েছি।

নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেন, সংঘাত আপাতত থেমে গেলেও যুদ্ধ শেষ হয়নি। ইরান যদি আবার তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শুরু করে, আমরা আবার আঘাত করব। আমাদের মিশন তখনই শেষ হবে, যখন অপহৃত ইসরায়েলি সেনারা ফিরবে এবং হামাস সম্পূর্ণ ধ্বংস হবে।

অন্যদিকে ইরানও নিজেদের বিজয় দাবি করেছে। তেহরান বলছে, যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতারই প্রমাণ।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল ও তাদের মিত্ররা ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। বরং আমাদের প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।

তেহরানের মতে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে নিজেকে রক্ষা করতে চায়। তারা এই সংঘাতকে ‘রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে ইরানের বিজয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয় দেশ পর্যায়ক্রমিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। প্রাথমিকভাবে ইরান সামরিক অভিযান বন্ধ করে, এরপর ইসরায়েলও হামলা থামায় বলে জানানো হয়।

তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান থেকে ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বিরশেবা শহরে আঘাত হানে, এতে চারজন নিহত হন।

এই ঘটনায় যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সংঘাত শুরু হওয়ার আশঙ্কা এখনো পুরোপুরি কেটে যায়নি।