ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

ইরানে বসেই যেভাবে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত মোসাদ?

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২৫, ১১:১৯ এএম
ইরানে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত মোসাদের এক সদস্য। ছবি- সংগৃহীত

বহুদিন তৎপরতা চালানোর পর ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। নির্ভুল নিশানায় ইরানের সামরিক কমান্ডারসহ ১৪ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। পুরো ঘটনাকে বাস্তবে রূপ দেয় ইরানে গুপ্তচরবৃত্তিতে থাকা মোসাদের সদস্যরা।

এমন পরিস্থিতে প্রশ্ন উঠেছে ইরানজুড়ে এখনও মোসাদের কতজন সদস্য সক্রিয় রয়েছে?  তেহরানে কিভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তারা?

সেল সংখ্যা ও গঠন

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আলজাজিরার তথ্যমতে, ইরানে মোসাদের ৩০ থেকে ৪০টি সেল সক্রিয় রয়েছে। যার অধিকাংশই স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যা ইরানকে অস্থিতিশীল রাখতে প্রভাবিত করছে। প্রতিটি সেল ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বে নিয়োজিত। কিছু আবার অস্ত্র/ড্রোন চালনা, কিছু নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করে এবং কিছু সরাসরি হামলা চালায়।

অপারেশন রাইজিং লায়ন ও ড্রোন বেস

মোসাদ ২০২৪–২৫ সালে ইরানে বেগুনি ব্যাগ, ট্রাক, কন্টেইনার ব্যবহার কর ড্রোন পার্টস, বিস্ফোরক ও কমান্ডো সদস্য প্রবেশ করায়। ইরানে গোপনভাবে একটি ড্রোন বেস প্রতিষ্ঠা ও এক্সপ্লোসিভ ইউএভি গুদাম করে। যা এয়ার-ডিফেন্স ও ক্ষেপণাস্ত্র সাইটে হামলা চালায়। এই বেসই সর্বপ্রথম ইরানে হামলা চালায়।

সিক্রেট কমান্ডো

মোসাদের কমান্ডো ইউনিট গোপনীতা রক্ষা করে ইরানে অবস্থান নেয়। যেখান থেকে তারা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্রকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে।

সেল ভ্যালিডেশন ও যোগাযোগ রক্ষণাবেক্ষণ

মোসাদ তার সেলের সদস্যদের স্থায়ী পরীক্ষা ও পড়াশোনার মাধ্যমে সংগঠিত করে। যেমন- নিরাপত্তা যাচাই, ল‌্যাপটপ/ফোন ‘অফ-গ্রিড’ রাখা, গোপন সংকেত ব্যবহার ইত্যাদি। কার্যক্রমে অংশগ্রহণের আগে সহযোগীদের ট্রেনিং, পরিচয়ভিত্তিক যাচাইকরণ এবং খারাপ পরিস্থিতিতে রিমোট কমান্ড–রিলেশনশিপ মেনেই তারা গনোয়া হয় ।

সিআইএ ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়

তথ্য অনুযায়ী, মোসাদ ইরানে যানবাহন ও ড্রোন বেস সিআইএর সহযোগিতায় গড়ে তোলে। যাতে তাদের হামলায় দৃশ্যমান সমর্থন থাকে।

সম্প্রতি ইরানজুড়ে মোসাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে নেমেছে তেহরান। ইতিমধ্যে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে মোসাদের প্রায় ৭০০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটি। একইসঙ্গে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডও কার্যকর করেছে ইরান।