বোমা ফেলতে গিয়ে ইরানের ‘প্রেমে’ ইসরায়েলি পাইলট

আকাশ থেকে ইরানের ওপর বোমা ফেলতে গিয়ে তেহরান শহরের প্রেমে পড়েছেন ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর এক পাইলট। হামলা শেষে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে এসে তিনি বলেছেন, ‘তেহরান অনেক সুন্দর শহর, একদিন ঘুরে দেখতে চাই’।

জেরুজালেম পোস্ট তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সেই পাইলটের পুরো নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা। তবে তাকে ইসরায়েলিদের রিজার্ভ পাইলট সংক্ষিপ্ত আকারে ‘এ’ নামে জানিয়েছে গণমাধ্যমটি।

ইরানি শিশুকে মাথার ওপর তুলে আছাড়, তোলপাড় সারা বিশ্ব

বিস্তারিত পড়ুন

ওই পাইলট এও বলেছেন, ‘গত কয়েকটা দিন যেন পুরো একটা বছর কেটে গেল।’

ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ ধ্বংসের অভিযানে অংশ নেন ওই পাইলট। যার নাম ছিলো ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন।’

১৩ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত চলা এই অপারেশনে অংশ নেওয়া ‘এ’ বলেন, ‘এত উত্থান-পতন, এত আনন্দ আর অনিশ্চয়তা- প্রতিটি দিন যেন একটি রহস্য উপন্যাসের বইয়ে বলা গল্পের মতো কেটেছে।’

গুপ্তচরদের হত্যার পরিকল্পনা থেকে যেভাবে বেঁচে গেলেন খামেনি

বিস্তারিত পড়ুন

তিনি বলেন, ৩০ হাজার ফুট ওপর থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানকে দেখে মনে হচ্ছিল শহরটা খুবই শান্ত। এই দৃশ্য আমরা শুধু ছবিতে দেখেছি আগে। বাইবেল উল্লিখিত অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে উড়ে গেছি। ইরানের পাহাড়গুলো দারুণ সুন্দর। শহরটাও যে খুব ভিন্ন কিছু, তা না—সব শহরের মতোই, চারণভূমির মতো শান্ত। হয়তো নিচের মানুষেরা আতঙ্কে ছিল, কিন্তু ওপর থেকে দেখলে সবই স্থির।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা রাখি, একদিন এই শহরে যেতে পারব।’

ইরানে বসেই যেভাবে গুপ্তচরবৃত্তিতে লিপ্ত মোসাদ?

বিস্তারিত পড়ুন

‘এ’ আরও বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের ওপর দিয়ে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান নিয়ে ওভাবে উড়া সত্যিই পাগলামি। এর পেছনে রয়েছেন টেকনিশিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার, মোসাদের কর্মকর্তা, গোটা গোয়েন্দা বিভাগ- তাদের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। ইসরায়েলে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মিনিটের মধ্যেই আমরা অবতরণের জন্য সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে পড়ি।’