ইসরায়েলের ১৪ জন মন্ত্রী দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি পশ্চিম তীর পুরোপুরি দখলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তাদের দাবি, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে, ফলে এটি ‘উপযুক্ত সময়’।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডানপন্থি লিকুদ পার্টির এসব মন্ত্রী বুধবার রাতে নেতানিয়াহুর কাছে একটি চিঠি পাঠান।
এতে তারা বলেন, ২৭ জুলাই শেষ হতে যাওয়া পার্লামেন্টের গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনের আগেই ‘জুডিয়া ও সামারিয়া’-ইসরায়েলের পরিভাষায় পশ্চিম তীর-এ সার্বভৌমত্ব ঘোষণা করতে হবে।
চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন উগ্র-ডানপন্থি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থনীতিমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, জ্বালানিমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী, পরিবহনমন্ত্রী, বিচারমন্ত্রী, পর্যটনমন্ত্রী, উদ্ভাবন ও সংস্কৃতিমন্ত্রী, প্রবাসবিষয়ক মন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, সামাজিক সাম্য মন্ত্রী এবং আঞ্চলিক সহযোগিতামন্ত্রী। নেসেটের (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) স্পিকার আমির ওহানাও এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
মন্ত্রীদের ভাষ্য, শুধু কিছু বসতিকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার যেকোনো উদ্যোগ ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য ‘চরম হুমকি’।
উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বরাবরই বলে আসছে, পশ্চিম তীর একটি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা হুঁশিয়ারি দিয়েছে, এই অঞ্চলের যেকোনো অংশ দখল করলে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি সমাধান ভেঙে পড়বে।
ইসরায়েল ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকেই পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালানোর পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও বসতি সম্প্রসারণ জোরদার করে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ওই সময় থেকে এ পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনী ও অবৈধ বসতির বাসিন্দাদের হাতে অন্তত ৯৮৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং সাত হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :