ঢাকা শুক্রবার, ০৪ জুলাই, ২০২৫

২২ দিন ধরে জনসম্মুখে নেই খামেনি, এখনো কি বিপদে?

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৪, ২০২৫, ০১:০৩ এএম
খামেনির উপস্থিতি ছাড়াই সর্বোচ্চ নেতার বাসভবনে মহররমের শোক অনুষ্ঠানে নির্বাহী ও বিচার বিভাগীয় শাখার প্রধানরা যোগ দেন। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার রাতে তেহরানে তার নিজ বাসভবন ইমাম খোমেনি হুসেইনিয়াতে আয়োজিত মহররমের উচ্চ পর্যায়ের বার্ষিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। 

প্রতি বছর এই আয়োজনে তিনি নিয়মিত অংশ নিলেও, এবার তার অনুপস্থিতি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান সংঘাত শুরুর পর থেকে প্রায় ২২ দিন ধরে আয়াতুল্লাহ খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। এমনকি নিহত শীর্ষ সেনা কমান্ডারদের জানাজাতেও তিনি উপস্থিত হননি, যা সাধারণত তার রুটিনের অংশ। 

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তার অনুপস্থিতির বিষয়ে সরাসরি কোনো উল্লেখ না থাকলেও, সংবাদ প্রচারে বিষয়টিকে স্বাভাবিক দেখানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে।

তবে বিবিসি পার্সিয়ান সার্ভিস জানিয়েছে, আলী খামেনির এই দীর্ঘ জনসমক্ষে না আসা ইঙ্গিত দেয় যে তার জীবন এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ ‘চ্যানেল ১৩’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সরাসরি বলেছেন, আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু এমন কোনো কার্যকর সুযোগ তৈরি হয়নি।

একই সুরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও তার বক্তৃতায় বলেছিলেন যে, আয়াতুল্লাহ খামেনিকে 'হত্যা' করলে যুদ্ধের অবসান হতে পারে।

ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি জানেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঠিক কোথায় লুকিয়ে আছেন, কিন্তু ‘এখনই’ তাকে হত্যা করার কোনো ইচ্ছা তার নেই। 

এর আগে, রয়টার্স সংবাদ সংস্থা দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি নেতাকে হত্যার ইসরায়েলি পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন।