ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

ছদ্মবেশেও রক্ষা পাননি ইরানের শীর্ষ জেনারেল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০১:২২ পিএম
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গে জেনারেল শাদমানি। ছবি- সংগৃহীত

ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সামরিক পোশাক ছেড়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন ইরানের শীর্ষ জেনারেল আলী শাদমানি। তার সঙ্গে ছিল না কোনো স্মার্ট ডিভাইস কিংবা মোবাইল ফোন। তবুও ইসরায়েল তাকে শনাক্ত করে হত্যা করেছে বলে দাবি উঠেছে।

কাতেম আল-আন্বিয়া নামের ইরানি যুদ্ধ সদর দপ্তরের নবনিযুক্ত কমান্ডার শাদমানি দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র চার দিনের মাথায় প্রাণ হারান। তার আগে একই পদে থাকা জেনারেল গোলাম আলী রশিদও ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন।

শাদমানিকে হত্যার ঘটনায় ইরানজুড়ে হোয়াটসঅ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তথ্য ফাঁস হওয়াতেই শাদমানিকে শনাক্ত করতে পেরেছিল ইসরায়েল। তবে এ দাবির বিরোধিতা করে মুখ খুলেছেন নিহত জেনারেলের মেয়ে মাহদিহ শাদমানি।

তিনি এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেন, ‘আমার বাবা মোবাইল ফোনসহ কোনো স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করতেন না। প্রতি কয়েক ঘণ্টা পরপর তার অবস্থান পরিবর্তন করা হতো। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রটোকল অনুসরণ করা হচ্ছিল। তবুও তিনি হত্যার শিকার হন।’

তিনি আরও জানান, শাদমানিকে হত্যার সময় তিনি কোনো সামরিক পোশাক পরেননি। সাধারণ পোশাকে, সামরিক প্রতীকহীন অবস্থায় ছিলেন তিনি।

ইরান সরকার বলছে, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি ইসরায়েলের কাছে তথ্য পাচার করে। বারো দিনের যুদ্ধ চলাকালে দেশটির  নাগরিকদের ফোন থেকে অ্যাপটি মুছে ফেলার আহ্বান জানানো হয়।

তবে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, এসব দাবি ইরান সরকার নিজের ভেতরের নাগরিকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ ও অ্যাপ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করছে।

এদিকে এ যুদ্ধে ইসরায়েল ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) একাধিক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করেছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, বিপ্লবী গার্ড প্রধান হোসেইন সালামি, আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার আমির আলী হাজিজাদেহ এবং আইআরজিসির ডেপুটি ফর অপারেশনস মেহেদী রব্বানি।