গাজা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ‘ইসরায়েলের’ বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় এবার পক্ষভুক্ত হচ্ছে ব্রাজিল। বুধবার দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে। এ মামলায় এরইমধ্যে স্পেন, তুরস্ক ও কলম্বিয়াসহ একাধিক দেশ যোগ দিতে চেয়েছে।
২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘ইসরায়েলের’ বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইসরায়েল ১৯৪৮ সালের ‘গণহত্যা সনদ’ লঙ্ঘন করছে। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নামে ইসরায়েল স্কুল, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবিরসহ বেসামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে গাজার সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
এদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিবৃতিতে ব্রাজিল ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আইনের বিভিন্ন লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করে, যার মধ্যে আছে বলপ্রয়োগ করে ভূখণ্ড দখলের মতো গুরুতর অভিযোগ। তারা গাজার সাধারণ মানুষের ওপর চলমান সহিংসতা নিয়ে গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
ব্রাজিলের এ মন্তব্যকে অত্যন্ত কঠোর এবং গাজায় যা ঘটছে, সেটার সঠিক প্রতিফলন নয় বলে জানিয়েছে ‘ইসরায়েল’। তেল আবিবের অভিযোগ, গাজার পরিস্থিতিতে হামাসের ভূমিকাকে সম্পূর্ণভাবে উপেক্ষা করেছে ব্রাজিল।
এদিকে ব্রাজিলের ইসরায়েলপন্থি সংগঠন কনিব বলছে, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে ব্রাজিলের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্ব ভাঙা একটি ভুল পদক্ষেপ। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির চরমপন্থার প্রমাণ।’
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বহুদিন ধরেই গাজায় ইসরায়েলের কার্যকলাপের কঠোর সমালোচক। তবে, এ সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো যখন ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উত্তেজনাপূর্ণ। চলতি মাসে ট্রাম্প প্রশাসন ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত সব পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেয়।
তবে লুলা প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এক কূটনীতিক রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মামলায় ব্রাজিলের অংশগ্রহণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে তারা মনে করে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটির বিরোধিতা করছে যুক্তরাষ্ট্র, যা ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও রিপাবলিকান ট্রাম্প—দুজনেই সমর্থন করেছে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়েরের কারণে ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক সহায়তা কেটে দেওয়ার ঘোষণা দেয়।

-20250724092508.webp)

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন