মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে ১৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি আরব। দেশটিতে চলতি বছর এ নিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৯। সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স ২৪ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার দুই সৌদি নাগরিককে ‘সন্ত্রাসবাদের অপরাধে’ মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)। এর আগে শনিবার ও রোববার ১৫ জনকে ‘মাদক চোরাচালানের’ অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের বেশির ভাগই বিদেশি নাগরিক।
সৌদি আরবে এ বছর এখন পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৩৯ জনের মধ্যে ১৬১ জন মাদক সংশ্লিষ্ট অপরাধে দণ্ডিত। এর মধ্যে ১৩৬ জনই বিদেশি নাগরিক। এ মৃত্যুদণ্ডের হার গত বছরের ৩৩৮টি মৃত্যুদণ্ডের রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা ১৯৯০-এর দশকের পর সর্বোচ্চ।
এদিকে, মানবাধিকার সংগঠন রিপ্রাইভ-এর জিন বাসিউনি বলেন, ‘বিশেষ করে হাশিশ (সৌদিতে মাদক হিসেবে প্রচলিত) সংশ্লিষ্ট অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে এবং এর বেশির ভাগই বিদেশি নাগরিক। বিশ্বজুড়ে অনেক দেশেই হাশিশ ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে বিবেচনার বাইরে দেখা হচ্ছে, সেখানে সৌদি আরবে এ ধরনের মৃত্যুদণ্ড উদ্বেগজনক।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের এই ঊর্ধ্বগতি মূলত ২০২৩ সালে শুরু হওয়া ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ প্রচারের ফল। তখন যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, এখন তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হচ্ছে।
২০১৯ সাল থেকে প্রায় তিন বছর মাদকসংক্রান্ত মৃত্যুদণ্ড স্থগিত ছিল সৌদি আরবে, তবে ২০২২ সালের শেষদিকে তা আবার চালু হয়। সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং মাদক প্রতিরোধে তারা মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :