ফিলিস্তিন জাতীয় বাস্কেট বল দলের এক খেলোয়াড়কে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহত খেলোয়াড়ের নাম মুহাম্মদ সালান বলে জানায় সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য মুহাম্মদ সালান ‘আর্থকোয়াক’ তথা ভূমিকম্প উপনামে পরিচিত ছিলেন মধ্যপ্রাচ্য ব্যাপী।
জানা যায়, মৃত্যুর সময় খান ইউনিস এলাকায় পরিবারের সদস্যদের জন্য গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের বিতর্কিত ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের সন্ধানে গিয়েছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় ২৭ মে থেকে উপত্যকাটিতে ত্রাণ সরবরাহে নিয়োজিত আছে সংস্থাটি। এরইমধ্যে জিএইচএফের এসব ত্রাণকেন্দ্রে খাবারের সন্ধানে গিয়ে প্রায় ২ হাজার ত্রাণ প্রত্যাশী নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘসহ অনেক মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ, ত্রাণ সংস্থার নামে গাজায় ইসরায়েলের হয়ে গণহত্যা চালাচ্ছে জিএইচএফ। অনেকেই জিএইচএফের ত্রাণকেন্দ্র সমূহকে মৃত্যুকূপ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ নিয়ে গাজায় চলমান ইসরায়েলি বর্বরতায় ৬২ হাজার ৬৪ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে কমপক্ষে ১৯ হাজার শিশু রয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে, ৫ আগস্ট ত্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয় ‘ফিলিস্তিনের পেলে’ খ্যাত দেশটির জাতীয় দলের ফুটবলার সুলেইমান আল ওবাইদ। সবমিলিয়ে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৮ শতাধিক ক্রীড়াবিদ নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ফিলিস্তিন স্পোর্টস এসোসিয়েশন।
এছাড়া গত ২৯ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ফিলিস্তিন অলিম্পিক কমিটি জানিয়েছে, শুধু জুলাই মাসেই গাজা ও দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলায় ৪০ জন ফিলিস্তিনি অ্যাথলেট নিহত হয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘একেকটি দিন যায় আর ফিলিস্তিনের ক্রীড়াঙ্গনে বিয়োগান্ত ঘটনার নতুন অধ্যায় যোগ হয়।’