লোহিত সাগরে একটি তেলবাহী জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইসরায়েলি বিমান হামলায় ‘হুথি প্রধানমন্ত্রী’ ও বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এ হামলা চালাল ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি।
সোমবার (১ আগস্ট) হুথি মুখপাত্র জানায়, তারা লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী স্কারলেট রে নামের একটি জাহাজে সরাসরি আঘাত হেনেছে। অন্যদিকে জাহাজটি ইসরায়েলি মালিকানাধীন বলে জানিয়েছে সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অ্যামব্রে। তবে ওই অঞ্চলের নৌ চলাচল পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) হুথির দাবিকে খণ্ডন করে জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি রবিবার লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে।
ইউকেএমটিও আরও বলেছে, জাহাজের ক্রুরা তাদের জাহাজের কাছাকাছি পানিতে একটি অজ্ঞাত বস্তু পড়ার ও প্রবল বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনেছেন। তবে সবাই অক্ষত ছিলেন এবং জাহাজটি পুনরায় যাত্রা শুরু করেছে।
লোহিত সাগরে হুথির ধারাবাহিক হামলার সর্বশেষ ঘটনা এটি। জুলাই মাসে তারা দুটি তেলবাহী জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন ও গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরোধিতার অংশ হিসেবে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
এর আগে শনিবার হুথি ঘোষণা করে, প্রধানমন্ত্রী আহমেদ গালেব আল-রাহাবি ও অন্য শীর্ষ কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। তাদের জানাজা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। হুথি নেতা আবদেল-মালিক আল-হুতি তাদেরকে পুরো ইয়েমেনের শহীদ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকদের ওপর বর্বরতার অভিযোগ এনেছেন।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন