ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

হুথির গণমাধ্যম কার্যালয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৯

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৫, ১০:২৮ পিএম
হুথির গণমাধ্যম কার্যালয়। ছবি- এএফপি

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের গণমাধ্যম কার্যালয়ে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবারের (১০ সেপ্টেম্বর) এ হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত ও ১১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।

হুথি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আল-আসবাহী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘প্রাথমিক হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৯ জনে পৌঁছেছে ও আহত ১১৮ জন। সিভিল ডিফেন্স, অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধার দল এখনো নিখোঁজদের খুঁজছে।’

‘ইসরায়েলি’ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা যুদ্ধ চলাকালীন ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে সানাও রয়েছে। এক বিবৃতিতে ‘ইসরায়েলি’ সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘অল্প কিছুক্ষণ আগে, আইএএফ (ইসরায়েলি বিমানবাহিনী) ইয়েমেনের সানা ও আল-জওফ এলাকায় হুতি সন্ত্রাসী শাসনের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল ‘সন্ত্রাসী শাসনের সদস্যদের উপস্থিত সামরিক শিবির, হুতিদের সামরিক জনসংযোগ সদরদপ্তর ও জ্বালানি সংরক্ষণ কেন্দ্র।’

এদিকে এ হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাল্টা হামলা চালিয়েছে হুথিরা। হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেন, “আমাদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে ‘ইসরায়েলি’ বিমানগুলোকে প্রতিহত করছে, যারা আমাদের দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালাচ্ছে।”

হুথিদের আল-মাসিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি’ বিমান হামলায় আল-জওফ প্রদেশের সরকারি ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা উত্তর ইয়েমেনে, সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী এলাকা।

এই হামলা এমন একসময়ে ঘটল যখন কয়েকদিন আগে ইয়েমেন থেকে নিক্ষিপ্ত একটি ড্রোন দক্ষিণ ‘ইসরায়েল’-এর রামন বিমানবন্দরে আঘাত হেনে একজনকে আহত করেছিল। গত মাসে ‘ইসরায়েলি’ হামলায় হুথি প্রধানমন্ত্রী ও ১১ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিহত হন—গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের হত্যাকাণ্ড।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের দাবি জানিয়ে হুতিরা বারবার ‘ইসরায়েল’-এর দিকে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। জবাবে ইয়েমেনে একের পর এক পাল্টা হামলা চালিয়েছে ‘ইসরায়েল’, যার লক্ষ্য ছিল বন্দর, বিদ্যুৎকেন্দ্র ও সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।