রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

সুমুদ ফ্লোটিলায় ড্রোন হামলার নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ও নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা ও নেতানিয়াহু। ছবি- সংগৃহীত

গাজাগামী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নৌবহরে গত মাসে ড্রোন হামলার অনুমোদন দিয়েছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে সিবিএস নিউজ।

বেশ কয়েকজন মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়ার উপকূলে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ওপর চালানো ওই হামলা ইসরায়েল একটি সাবমেরিন থেকে পরিচালনা করেছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলেন, এটি ছিল ‘ইচ্ছাকৃত এবং অপ্রয়োজনীয় উসকানি’, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টার সময় ঘটানো হয়।

প্রতিবেদনটি ইসরায়েলপন্থী বিশ্লেষকদের দাবি খারিজ করেছে যে, আগুন লাগার ঘটনা কর্মীদের ফ্লেয়ার গান ব্যবহারের ফল ছিল।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে নৌবহর জানায়, তারা সন্দেহ করছে যে হামলার পেছনে ইসরায়েল জড়িত। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি সম্পৃক্ততার নিশ্চয়তা আমাদের অবাক করবে না। এটি কেবল অহংকার ও দায়মুক্তির ভয়াবহ উদাহরণ হবে। উদ্দেশ্য আমাদের হত্যা, ভয় দেখানো বা নৌকাগুলো অচল করা যাই হোক না কেন, হামলাটি বেসামরিক নাগরিক ও মানবিক স্বেচ্ছাসেবকদের সরাসরি বিপদে ফেলেছে।’

সংগঠনটি এ ঘটনার স্বাধীন তদন্ত ও দায়ীদের জবাবদিহিতার দাবি জানায়।

তিউনিসিয়ার উপকূলের সিদি বো সাইদ বন্দর থেকে গাজা অভিমুখে রওনা হওয়া ফ্লোটিলার প্রধান জাহাজে ড্রোনটি আঘাত হানে। কাছের একটি নৌকার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি ক্ষেপণাস্ত্র পর্তুগালে নিবন্ধিত ‘ফ্যামিলি বোট’-এর সামনের ডেকে আঘাত করছে।

পর্তুগিজ পতাকা বহনকারী জাহাজটিতে থাকা ছয় যাত্রী ও ক্রু অক্ষত ছিলেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জাহাজটি কাঠামোগতভাবে টিকে যায়। তবে তিউনিসিয়ার কর্তৃপক্ষ কোনো ড্রোন সনাক্ত করার কথা অস্বীকার করেছে।

জাহাজে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মিগুয়েল ডুয়ার্তে জানান, তিনি স্পষ্টভাবে মাথার চার মিটার ওপরে একটি ড্রোন উড়তে দেখেছেন এবং সেটি বিস্ফোরক নিক্ষেপ করে।

এর আগে বুধবার গাজা উপকূলে ইসরায়েলি বাহিনী নৌবহর আটকালে বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধবিরোধী এই অভিযানের ফলে ফ্লোটিলা বাধাগ্রস্ত হয়। প্রায় ৪০টি বেসামরিক নৌকা নিয়ে গঠিত ফ্লোটিলায় ছিলেন প্রায় ৫০০ জন সংসদ সদস্য, আইনজীবী ও কর্মী।

শুক্রবার ইসরায়েল চারজন ইতালীয় কর্মীকে বহিষ্কার করেছে। আটক হওয়া শত শত কর্মীর মধ্যে এটাই প্রথম বহিষ্কার, যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।

একজন ইসরায়েলি কর্মকর্তা জানান, পরদিন ফ্লোটিলার নৌকাগুলোকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযানে সবগুলো ৪২টি জাহাজ থামিয়ে আশদোদ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং যাত্রীদের পুলিশের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করা হয়।

তুরস্ক জানিয়েছে, তাদের ৩৬ জন নাগরিক শনিবার বিকেলে বিশেষ বিমানে দেশে ফিরবেন। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওনকু কেচেলি এক্স-এ লিখেছেন, ‘আমরা আশা করছি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ইসরায়েলি বাহিনীর আটক করা আমাদের নাগরিকরা আজ বিকেলে দেশে ফিরবেন।’

তিনি আরও জানান, বাকিদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়াও চলছে, যদিও সঠিক সংখ্যা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

Link copied!