গাজাগামী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা থেকে অপহরণকৃত পরিবেশবাদী অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে ইসরায়েলি কারাগারে তাকে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত রাখার। তবে এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়—বলেছে, এসব অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথা ও ভিত্তিহীন’।
রোববার (৫ অক্টোবর) এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই দাবি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার অন্যান্য বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’। সকল বন্দির আইনি অধিকার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করা হয়েছে। মজার বিষয় হলো, গ্রেটা ও অন্যান্য বন্দি নিজেরাই তাদের নির্বাসন দ্রুত করতে অস্বীকৃতি জানান এবং বরং আটক থাকার সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেন।”
ইসরায়েল বলেছে, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, গ্রেটা থুনবার্গ এসব হাস্যকর ও মিথ্যা অভিযোগ সম্পর্কে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছেও কোনো অভিযোগ করেননি। কারণ এমন কিছু আদৌ ঘটেনি।’
এর আগে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ নৌ অবরোধ ভাংতে যাওয়া অধিকারকর্মী থুনবার্গকে ইসরায়েলি কারাগারে তৃষ্ণার্ত ও ক্ষুধার্ত রাখা হচ্ছে বলে সংবাদ প্রকাশ করে দ্য গার্ডিয়ান। সুইডিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ই-মেইলের বরাতে এ তথ্য প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি।
সুইডিশ মন্ত্রণালয় থুনবার্গের সহযোগীর কাছে ই-মেইলে লিখেছে, ‘আমাদের দূতাবাস গ্রেটার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছিল। তিনি পানিশূন্যতার কথা জানিয়েছেন। তাকে পর্যাপ্ত খাবার ও পানি দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া ছারপোকার কারণে শরীরে র্যাস দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, কারাগারের অবস্থা খুব খারাপ। এ ছাড়া শক্ত জিনিসের ওপর তাকে দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হচ্ছে।’
সুইডিশ মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ‘আরেক বন্দি তার দেশের দূতাবাসকে জানিয়েছেন, তিনি দেখতে পেয়েছেন গ্রেটা থুনবার্গকে ছবি তোলার জন্য একটি পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে বাধ্য করা হচ্ছে। এসব ছবি বাইরে ছড়ানো হয়েছে কি না তিনি তা জানতে চেয়েছেন।’
গত সপ্তাহে ৪৫টি জাহাজে করে প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী গাজার কাছাকাছি যান। ওই সময় আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায় ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। তাদের মধ্যে প্রায় ১৪১ জনকে দখলদার ইসরায়েল ছেড়ে দিয়েছে। বাকিদের নেগেভের কেৎজিওত কারাগারে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।