ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে প্রথম বাস গাজায় পৌঁছেছে

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০৪:০৫ পিএম
গাজায় পৌঁছেছে ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্ত বন্দিরা। ছবি- সংগৃহীত

জীবিত ২০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তির পর এবার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি থাকা কিছু ফিলিস্তিনিকে নিয়ে একটি বাস ইতোমধ্যে গাজায় পৌঁছেছে। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের বহনকারী আরও কিছু বাস গাজার দিকে যাত্রা করেছে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি পরিকল্পনা’ মেনে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল আটটার পর ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। গাজায় প্রথম ধাপে সাতজন জিম্মিকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।

ট্রাম্পের ওই পরিকল্পনার প্রথম ধাপ অনুযায়ী, গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এর চতুর্থ দিনে আজ সোমবার মিসরের অবকাযাপনকেন্দ্র শারম আল-শেখে ‘শান্তি’ সম্মেলনে বসছেন বিশ্বনেতারা। সেখানে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ইতোমধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছে, তাতে ট্রাম্প সই করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের পরিকল্পনার ভিত্তিতে গাজায় যে প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তার মূল শর্তগুলো হলো—গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা বন্ধ, উপত্যকাটির নির্দিষ্ট এলাকা পর্যন্ত সেনাদের সরিয়ে আনা এবং জিম্মি ও বন্দিবিনিময়। গতকাল রোববার দিনভর বন্দিদের মুক্তি বিষয়ে তৎপরতা চালিয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। পরে সেদিন থেকেই গাজায় টানা দুই বছর ধরে নৃশংসতা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। ৭ অক্টোবর হামাসের সদস্যরা হামলা চালিয়ে ইসরায়েল থেকে প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যান। তাদের ৪৮ জন এখনো উপত্যকাটিতে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত। বাকি ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পর ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি ১ হাজার ৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। তাদের মধ্যে ২৫০ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। বন্দিদের মধ্যে ২২ শিশুও রয়েছে।