ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাকিস্তান দেশটির ২৬টি স্থানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ড্রোনগুলো বেসামরিক ও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা করেছিল বলে জানানো হয়।
শুক্রবার থেকে শনিবার (৯ ও ১০ মে) সকাল পর্যন্ত সময়ে এসব ড্রোন হামলা হয় বারামুল্লা থেকে গুজরাটের ভুজ পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায়।
বারামুল্লা, শ্রীনগর, অবন্তীপোরা, নাগরোটা, জম্মু, ফিরোজপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, জয়সলমীর, বারমের, ভুজসহ ২৬টি স্থানে ড্রোন দেখা গেছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনী বলেছে, তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে এবং ড্রোন প্রতিরোধে সক্রিয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের ভেতরে থাকতে এবং নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।
এদিকে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হন। ভারত এর জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে, যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে।
এই ঘটনার পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায়। ওই রাতেই পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, লাহোর, করাচি, রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি প্রযুক্তির ২৯টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে।
এরই মধ্যে পাকিস্তান ‘অপারেশন বুনইয়ান মারসুস’ নামে নতুন সামরিক অভিযান শুরু করেছে। শনিবার ভোরে এই অভিযান চালানো হয় ভারতের সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে।
ভারত দাবি করেছে, তারা পাকিস্তানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বেশিরভাগই প্রতিহত করেছে। এছাড়া ভারতের দাবি, পাকিস্তানের একটি আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা লাহোরে ধ্বংস হয়েছে।
যুদ্ধবিমান ধ্বংসের বিষয়টি ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সূত্র জানায়- মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। তাদের মধ্যে একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান।